ইংল্যান্ডকে হারিয়ে উল্লাস দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স
চলতি বিশ্বকাপে একেবারেই ভাল ফর্মে নেই গত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হারতে হল জস বাটলারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে গিয়ে দাঁড়াতে পারল না ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারল তারা। রানের নিরিখে এটি ইংল্যান্ডের সব থেকে বড় ব্যবধানে হার।
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। অসুস্থ থাকায় এই ম্যাচে খেলেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। নেতৃত্ব দেন আইডেন মার্করাম। বাভুমার বদলে কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রিজা হেনড্রিক্স। প্রথম ওভারেই আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার ছন্দে থাকা ওপেনার ডি’কক। তার পরে দ্বিতীয় উইকেটে হেনড্রিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। দু’জন মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
অর্ধশতরান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার। ভ্যান ডার ডুসেন ৬০ রান করে আউট হন। তার পরে হেনড্রিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মার্করাম। হেনড্রিক্স ৮৫ রান করেন। মার্করামও ভাল খেলছিলেন। ৪২ রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি ডেভিড মিলার।
পর পর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। শুধু টেনে তোলা নয়, দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন তাঁরা। ইংল্যান্ডের পেসারদের বেধড়ক মারছিলেন দুই ব্যাটার। ৪০ ওভারের পর থেকে বড় রান আসছিল প্রতি ওভারে। ক্লাসেনের পায়ে ক্র্যাম্প ধরায় বেশি দৌড়তে পারছিলেন না তিনি। ফলে বড় শট খেলার দিকে মন দেন। মাত্র ৬১ বলে শতরান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১০৯ রানে আউট হন ক্লাসেন।
জানসেনও শেষ দিকে বড় শট খেলছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪২ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জানসেন।
জবাবে ব্যাট করতে
নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। জনি
বেয়ারস্টো, দাউইদ মালান, জো রুট রান পাননি। এই ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বেন স্টোকস।
বল করেননি তিনি। ব্যাট হাতেও করেন মাত্র ৫ রান। ইংল্যান্ডের রানকে এগিয়ে নিয়ে
যাওয়ার দায়িত্ব ছিল হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক বাটলারের কাঁধে। কিন্তু এই ম্যাচে
তাঁরাও ব্যর্থ। একই ওভারে তাঁদের ফেরান জেরাল্ড কোটজে। ৬৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায়
ইংল্যান্ডের। সেখানেই খেলা শেষ হয়ে যায় তাঁদের। নীচের দিকের ব্যাটারেরা কিছু বড় শট খেলেন। মার্ক উড ও গাস অ্যাটকিনসন না থাকলে আরও বড় লজ্জার সামনে পড়ত ইংল্যান্ড। অর্ধশতরানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। ফলে হারের ব্যবধান কিছুটা কমে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রান করে ইংল্যান্ড। চোট থাকায় নামেননি রিচি টপলে। ২২৯ রানে হারে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের লড়াইয়ে এই হার তাদের বড় ধাক্কা দেবে। অন্য দিকে আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় জয় মনোবল বাড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার।