বাইরে থেকে দলের হার দেখছেন ক্যামেরন গ্রিনেরা। ছবি: রয়টার্স।
ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও হার অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই দল শেষ ১৭৭ রানে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সব সময়ই লড়াকু রূপ দেখা যায়। কিন্তু এ বারটা ব্যতিক্রম। চেন্নাইয়ের ঘূর্ণি পিচে ভারতকে সামলাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এ বার লখনউয়ের ব্যাটিং সহায়ক পিচেও ধরাশায়ী তারা। ১৩৪ রানে হার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া অনেকটা ফুটবলে জার্মানির মতো। দু’টি দলই শেষ পর্যন্ত লড়ে যায়। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সেই ঝাঁঝ দেখা যায়নি। চেন্নাইয়ে তবুও স্পিন সামলাতে না পেরে ১৯৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভারতের প্রথম তিন উইকেট তুলে নিয়ে একটা চাপ তৈরি করেছিল। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল দলকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা ব্যর্থ হন। ওপেনিং জুটিতেই ১০৮ রান তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ধারাবাহিক ভাবে প্রথম চার উইকেটে রান করেন কুইন্টন ডি’ককের। তিনি নিজে ১০৯ রান করেন। ৫৬ রান করেন এডেন মার্করাম। এক সময় মনে হচ্ছিল ৩৫০ রান করে ফেলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝের ওভারে পর পর উইকেট হারিয়ে সেটা পারেনি তারা। যদিও শেষ বেলায় মার্কো জানসেন ২২ বলে ২৬ রান করে দলকে ৩১১ রানের লড়াকু স্কোরে পৌঁছে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই রান তোলার পিছনে যদিও অস্ট্রেলিয়ারও হাত রয়েছে। পাড়ার ক্রিকেটে যে সব ক্যাচ ফেললে পরের দিন খেলতে নেওয়া হবে কি না সন্দেহ, সেই ধরনের ক্যাচ ফেললেন মিচেল স্টার্কেরা।
৩১২ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া যে ভেঙে পড়বে সেটা মনে করেননি অনেকেই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ শুরু থেকেই চাপ বাড়িয়ে দিলেন। জানসেনের বলে আউট হন মিচেল মার্শ। মিড অফে বাভুমার হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি। পরের ওভারেই লুঙ্গি এনগিডির বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। স্টিভ স্মিথকে আউট করেন কাগিসো রাবাডা। এলবিডব্লিউ হন তিনি। এর পরেই একের পর এক উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৭০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট চলে যায় তাদের। সেখান থেকে খেলা ধরেন মার্নাস লাবুশেন এবং মিচেল স্টার্ক। ৬৯ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। সেই জুটি ভাঙেন জানসেন। আউট করেন স্টার্ককে (২৭)। লাবুশেনকে (৪৬) আউট করেন মহারাজ।
এই ভাবে অস্ট্রেলিয়াকে হারতে অনেক বছর দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। ভারত খেলতে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে হেরে গিয়েছিল তারা। বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিরুদ্ধেও হেরে যায় তারা। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের বাদ দিয়েই প্রথম দু’টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত জয় অধরা অস্ট্রেলিয়ার।