(বাঁ দিকে) চেন্নাইয়ে জুটি গড়েছেন অশ্বিন-জাডেজা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ভরাডুবি বাঁচিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা। সকালে বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে ভারতের টপ ও মিডল অর্ডার তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়। তার পরে ইনিংস সামলান অশ্বিন ও জাডেজা। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাঁদের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলাদেশের পেস আক্রমণেরও প্রশংসা করেন তিনি।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সমাজমাধ্যমে সৌরভ লেখেন, “অশ্বিন ও জাডেজা দুর্দান্ত ইনিংস খেলল। শুধু বড় রান করার জন্য নয়, ওদের খেলার ধরন খুবই উচ্চমানের।” পাশাপাশি বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসাও করেছেন দাদা। তিনি লেখেন, “বাংলাদেশের এই পেস আক্রমণ খুব ভাল। পাকিস্তানের মাটিতে ওরা যে পাকিস্তানকে হারিয়েছে, এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।”
চেন্নাইয়ে টেস্ট শুরু হওয়ার আগে সৌরভ জানিয়েছিলেন, এই সিরিজ় ভারতের কাছে সহজ হবে না। তাঁর মনে হয়েছিল, এই বাংলাদেশ দল আগের থেকে শক্তিশালী। পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে তারা। প্রথম দিন সকালে সেটাই দেখা গিয়েছে। একটা সময় ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে ১৯৫ রানের জুটি বেঁধে দলকে টেনে তোলেন অশ্বিন ও জাডেজা। পাল্টা আক্রমণের পথে যান তাঁরা। দিনের শেষে তাঁদের প্রশংসা করলেন সৌরভ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে যায় ভারত। হাসান মাহমুদের বল খেলতে পারছিলেন না রোহিত শর্মারা। পর পর রোহিত, শুভমন গিল ও বিরাট কোহলি আউট হন। চতুর্থ উইকেটে যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋষভ পন্থ জুটি বাঁধলেও তা বড় হয়নি। পন্থকেও ফেরান মাহমুদ। অর্ধশতরানের পরে আউট হন যশস্বী। লোকেশ রাহুলও রান পাননি। ১৪৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সাজঘরে হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় কোচ গৌতম গম্ভীরকে।
তাঁর মুখে হাসি ফোটান ভারতের স্পিনার-অলরাউন্ডার জুটি। ৬ উইকেট পড়লেও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন অশ্বিন ও জাডেজা। পাল্টা বড় শট খেলতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের আক্রমণে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দিনের শেষ পর্যন্ত টিকে দুই ব্যাটার। অশ্বিন ১১২ বলে ১০২ রানে খেলছেন। টেস্টে ষষ্ঠ শতরান করেছেন তিনি। ১০টি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছেন অশ্বিন। অন্য দিকে জাডেজা ১১৭ বলে ৮৬ রানে খেলছেন। তিনিও ১০টি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছেন। দ্বিতীয় দিন তাঁর কাছেও সুযোগ রয়েছে শতরান করার।