অজিঙ্ক রাহানে। — ফাইল চিত্র
বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে ফিরেছিলেন ভারতীয় দলে। একটি ম্যাচে ভাল খেলার সুবাদে রাতারাতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সহ-অধিনায়ক করে দেওয়া হয়েছে অজিঙ্ক রাহানেকে। প্রায় ১৮ মাস বাইরে থাকা একজন ক্রিকেটারকে এ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া মানতে পারছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তিনিও। নির্বাচকদের আরও ধারাবাহিক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সৌরভ।
সহ-অধিনায়কত্ব শুভমন গিলকে দেওয়া উচিত ছিল কি না, সে প্রশ্নে সৌরভের জবাব, “আমার তাই মনে হয়।” সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে লন্ডন থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ আরও বলেছেন, “ভারত এক ধাপ পিছিয়ে গেল এটা বলছি না। কিন্তু ১৮ মাস পরে দলে ফিরে একটা টেস্ট খেলেই সহ-অধিনায়ক হয়ে যাওয়া, এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও যুক্তি পাচ্ছি না। রবীন্দ্র জাডেজা তো রয়েছে। অনেক দিন ধরে দলে রয়েছে। টেস্ট দলেও জায়গা পাকা। ওকে করা যেতেই পারত।” সৌরভ আরও বলেছেন, “নির্বাচকদের চুপ করে বসে থাকলে হবে না। ওদের ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।”
চেতেশ্বর পুজারাকে বাদ দেওয়া নিয়েও কথা বলেছেন সৌরভ। তাঁর মতে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্বাচকদের যোগাযোগের মাধ্যম আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত। বলেছেন, “পুজারাকে নিয়ে কী করা হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। ওকে আর টেস্ট খেলানো হবে না কি তরুণদের উপরেই নির্ভর করা হবে, এটা ওকে বলে দেওয়া উচিত। পুজারার মতো কাউকে আচমকা দল থেকে বাদ দিয়ে, আবার দলে নিয়ে ফের বাদ দেওয়া যায় না। একই কথা বলব রাহানের ক্ষেত্রেও।”
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের পরামর্শদাতা সৌরভ। সেখানেই খেলেন সরফরাজ খান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝুরি ঝুরি রান করা সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে নেওয়া হয়নি তাঁকে। সে প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন, “আশা করি আগামী দিনে ওকে নেওয়া হবে। গত তিন বছরে ও কত রান করেছে সেটা দেখুন। অভিমন্যু ঈশ্বরণের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। ও-ও পাঁচ-ছ’বছরে অনেক রান করেছে। ওদের দু’জনকেই বাদ পড়তে দেখে আমি অবাক হয়েছি। ভবিষ্যতে ওদের সুযোগ পাওয়া উচিত।”