দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিযোগিতাতেও ললিতের ছায়া। ফাইল ছবি।
ভারত ছাড়া গতি নেই বিশ্ব ক্রিকেটের। দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেরই ছোট সংস্করণ। কারণ আইপিএলের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি এই প্রতিযোগিতার ছয়টি দলের মালিকানা পেতে পারে।
আগে দু’বার টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শুরু করেও সাফল্য পায়নি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। সম্ভবত সে কারণেই তৃতীয় বার আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না সে দেশের ক্রিকেট কর্তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন বিনিয়োগকারীদেরই নতুন প্রতিযোগিতার দল বিক্রির পরিকল্পনা নেন তাঁরা। তাঁদের সেই পরিকল্পনা অনেকটাই সফল। আইপিএলের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছয়টি দল কেনার ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কিনতে চলেছে কেপটাউন ফ্র্যাঞ্চাইজি। চেন্নাই সুপার কিংস আগ্রহী জোহানেসবার্গের দল নিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালস চায় প্রিটোরিয়া দলের মালিকানা। পার্লের মালিকানা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। হায়দরাবাদ সানরাইজার্স নিচ্ছে পোর্ট এলিজাবেথের মালিকানা। আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্টসও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় দল নিতে আগ্রহী। তাদের নজরে রয়েছে ডারবানের ফ্র্যাঞ্চাইজি।
শুধুই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রতিযোগিতার মূল পরিকল্পনাও আইপিএলের প্রাক্তন চিফ অপারেটিং অফিসার সুন্দর রামনের। যিনি আবার প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। নতুন এই প্রতিযোগিতার কমিশনার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের এখন চুক্তি হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে চুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। তার পরেই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার তরফ থেকে সরকারি ভাবে ঘোষণা করে হবে। যদিও সূত্রের খবর, আইপিএলের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিই দলগুলির মালিকানা পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে নতুন এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। আগের দু’টি চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায়, এ বারের প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রোটিয়া ক্রিকেট কর্তারা সতর্ক। তাঁরা প্রতিযোগিতা সফল করতে মরিয়া। যে কারণে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এক দিনের সিরিজও সে সময় না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ভারতে প্রায় তিন মাস ধরে আইপিএলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা এখন ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয়। এখানে আইপিএলের সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির উপস্থিতি এই প্রতিযোগিতার জন্য ইতিবাচক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিযোগিতা আগামী দিনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্ককেও উন্নত করবে।’’