যশপ্রীত বুমরা। —ফাইল চিত্র।
লখনউয়ে ভারতীয় দলের অনুশীলনে তিনটি চমক। পুরোটাই হার্দিক পাণ্ড্যকে রবিবারের ম্যাচে পাওয়া যাবে না বলে। চোটের জন্য লখনউয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না হার্দিক। তাঁর মতো অলরাউন্ডারের অভাব ঢাকতে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারত। বৃহস্পতিবারের অনুশীলনেও একের পর এক চমক দেখা গেল।
চমক ১
রবিবার বিরাট কোহলির বল করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার নেটে যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদবদের সঙ্গে বল করতে দেখা গেল বিরাটকে। শুভমন গিল এবং সূর্যকুমার যাদবকেও বল করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। তিন বল করে মাঠ ছাড়েন তিনি। সেই ওভার শেষ করেছিলেন বিরাট। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে যদিও ভারতের কোনও অলরাউন্ডার ছিল না। পাঁচ বোলার নিয়ে নেমেছিলেন রোহিত শর্মারা। লখনউয়ের বিরুদ্ধে কি তা হলে ষষ্ঠ বোলারের কাজ করবেন বিরাটেরা? অনুশীলনে বিরাট এবং শুভমনকে দু’ওভার করে বল করতে দেখা যায়। তার থেকে বেশি বল করেন সূর্য। রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আয়ারকে বল করেন তিনি। সূর্যের বোলিং দেখে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
সূর্য প্রথমে ১৫ মিনিট অশ্বিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে বল করেন। পরে তিনি যোগ দেন রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে। তাঁরা দু’জন মিলে রোহিতকে বল করেন। সেখানে আরও ১৫ মিনিট বল করেন সূর্য। ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় আইপিএলে বল করেছিলেন সূর্য। সেই সময় তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
চমক ২
বৃহস্পতিবার নেটে দেখা যায় বাঁহাতি বুমরাকে। ভারতীয় দলে কোনও বাঁহাতি জোরে বোলার নেই। এই কারণে অনেকেই মনে করছেন জোরে বোলিং বিভাগে বৈচিত্র কিছুটা হলেও কম। তবে কি বুমরাকে বাঁ হাতে বল করতে দেখা যাবে?
চমক ৩
ভারতের স্পিন বোলিং বিভাগের অবস্থা ঠিক এর উল্টো। যে দুই স্পিনার নিয়মিত খেলছেন, সেই রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব দু’জনেই বাঁহাতি। তবে কি ইংল্যান্ড ম্যাচে হাত বদলে বল করবেন জাডেজা? কারণ, অনুশীলনে তাঁকে ডান হাতে বল করতে দেখা গিয়েছে।
তবে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন ব্যাটার সিরাজ এবং বোলার শুভমন। আধ ঘণ্টা ধরে ব্যাট করেন সিরাজ। তাঁকে বল করেন শুভমন। যত বার সিরাজ অফ স্টাম্পের বাইরের বল ফসকেছেন, তত বার শুভমন তাঁকে ডিফেন্স করতে শিখিয়েছেন।
দলের ব্যাটারেরা যেমন বল করেছেন, তেমনই বোলারেরা অনেক ক্ষণ ব্যাট করেছেন। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর থ্রোডাউন দেন বুমরাকে। অনুশীলনে বৃহস্পতিবার দেখা যায়নি মহম্মদ শামি এবং ঈশান কিশনকে।