শ্রেয়স আয়ার। — ফাইল চিত্র।
গত বার দলকে আইপিএল জিতিয়েছিলেন তিনি। তিন বছর খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। তাতেই না কি দলের প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে শ্রেয়স আয়ারের। বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার বিরাট অর্থ চাইছেন কেকেআরের থেকে। তা দিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।
দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে শ্রেয়সের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেকেআর কর্তারা। সেই বৈঠকে অনেক কথাবার্তাই হয়েছে। দিনের শেষে শ্রেয়সকে নিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর। বৃহস্পতিবার বিকেলে যে তালিকা বোর্ডে জমা দেওয়া হবে সেখানে যে শ্রেয়সের নাম থাকবে না তা কার্যত নিশ্চিত। যদিও শ্রেয়সকে ‘রাইট-টু-ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করে কেনা যায়। তবে সেটা নিয়ে এখনও ভাবেনি কেকেআর।
আইপিএলের দলগুলি সাধারণত অধিনায়ক হিসাবে ভারতীয়দেরই চায়। সে জায়গায় শ্রেয়স গত বার দলকে জিতিয়েছেন। কিন্তু খারাপ ফর্ম এবং বোর্ডের কথা না শোনার কারণে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন। এখন নেই কোনও দলেই। এই পরিস্থিতিতে কী করে তিনি এত দাম চান তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কেকেআর শ্রেয়সকে ‘রাইট-টু-ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করতে কিনতে চায়। শ্রেয়স চাইছেন, নিলামে তাঁর দাম যতটা সম্ভব বাড়িয়ে তার পরে এই কার্ড ব্যবহার করে কিনুক কেকেআর। কিন্তু নিলামের সমীকরণ নিয়ে বড় অর্থনীতিবিদেরাও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চান না। তাই শ্রেয়সের দাম যে অনেকটাই উঠবে এমন প্রতিশ্রুতি দিতে চাননি কেকেআর কর্তারা।
আইপিএলের নিলামে ক্রিকেটারের দাম ওঠে তাঁর জাতীয় দলের পারফরম্যান্স, আইপিএলের অতীত পারফরম্যান্স এবং ফিটনেসের কথা মাথায় রেখে। ইদানীং জাতীয় দলে সুযোগই পাননি শ্রেয়স। আইপিএলে গত বার দল জিতলেও তিনি যে খুব ভাল খেলেছেন এমনটা বলা যাবে না। তা ছাড়া ২০২৩ মরসুমে তাঁকে চোটের জন্য পাওয়া যায়নি। এমনিতেই শ্রেয়স চোটপ্রবণ। তাঁর পিছনে গাদা গাদা অর্থ খরচ করতে নারাজ কেকেআর। তাই শ্রেয়সকে বাদ দিয়েই পরিকল্পনা করা হয়েছে।