২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর শ্রীবৎসরা। —ফাইল চিত্র
সাল ২০০৮। তখন ১৯ ছুঁইছুঁই শ্রীবৎস গোস্বামী অনূর্ধ্ব ১৯ দলের উইকেটরক্ষক। বিরাট কোহলীর দলের অন্যতম ভরসা। ১৪ বছর আগের সেই স্মৃতি আজও টাটকা ৩২ বছরের শ্রীবৎসের মনে। যশ ঢুল, রবি কুমারদের মনে এখন কী চলতে পারে তা ভালই জানেন তিনি। সেই স্মৃতিই ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোহলীর ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। সে বার শ্রীবৎসর ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে সব চেয়ে বেশি রান এসেছিল এই বাঁহাতি উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকেই। শ্রীবৎস বলেন, “উচ্ছ্বাস ছিল। জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিলাম। যশদের মধ্যেও সেটা থাকা স্বাভাবিক। বয়স কম থাকলে এটাই হয়। তবে বড় বড় কোচেরা দলের সঙ্গে রয়েছেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে দেবেন না তাঁরা।”
বিশ্বকাপের আগেও পর পর ম্যাচ জিতেছিলেন শ্রীবৎসরা। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের আগে ত্রিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিলাম। সেখানেও জিতেছিলাম। আমাদের দলটা হারতে জানত না। সব ম্যাচ জিতছিলাম। সেটাই অভ্যেস করে নিয়েছিলাম আমরা।”
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতে কলকাতা ফেরার পর শ্রীবৎস। আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ বহু তারকার জন্ম দিয়েছে। যুবরাজ সিংহ, মহম্মদ কইফ, বিরাট কোহলীরা সাফল্যের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটে খেলেছেন। রাজ্যের হয়ে, ভারত এ দলে, আইপিএল-এ খেলেছেন শ্রীবৎস। তিনি বলেন, “অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা সকলে খুব উৎসাহী ছিলাম। টিভি-তে আমাদের খেলা দেখাচ্ছে। ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ রয়েছে। সে বার প্রথম বার আইপিএল। সেখানে খেলার সুযোগ রয়েছে। এই সব কিছুই আমাদের ভাল খেলার প্রেরণা ছিল।”
এ বারের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের খেলা ছাড়াও শ্রীবৎসের নজর কেড়েছে আফগানিস্তান। রশিদ খানদের দেশ সেমিফাইনাল খেলেছে। যা সেই দেশের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন তিনি। যশদের নিয়েও আশাবাদী উইকেটরক্ষক। শ্রীবৎস বলেন, “সেমিফাইনালে যশ শতরান করেছে। ভাল খেলছে। বাংলার রবি কুমারের কথা বলতেই হবে। ভাল বল করছে ও। রঞ্জি দলেও দেখতে চাইব ওকে।”
৫ ফেব্রুয়ারি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ জিতে শেষ করতে চাইবে ভারত। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে যাবে এক ঝাঁক ক্রিকেটারের স্বপ্নের জগত। কেউ খেলবেন আইপিএল, কেউ ভারতীয় দলে কড়া নাড়বেন, কেউ রঞ্জি দলে ডাক পাওয়ার আশা রাখবেন। ভারতের পরবর্তী যুগের তারকারা দ্যুতি ছড়াতে শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।