শোয়েবের দিকে তেড়ে যান দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
কিছু দিন আগে জনপ্রিয় হয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের করা একটি বিজ্ঞাপন। বেঙ্গালুরুর ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়েছিলেন দ্রাবিড়। বিরক্ত হয়ে মাথা গরম করে একের পর এক কাণ্ড করছিলেন দ্রাবিড়। কখনও অন্যের গাড়িতে কফির কাপ ছুড়ে মারছেন, কখনও ব্যাট দিয়ে কারও গাড়ির আয়না ভেঙে দিচ্ছেন। গাড়ির উপরে উঠে নিজেকে ‘ইন্দিরানগর কা গুন্ডা’ বলেও পরিচয় দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
শুধু বিজ্ঞাপনে নয়, মাঠের মধ্যেও এ রকম ঘটনা ঘটেছে দ্রাবিড়ের জীবনে। ঠান্ডা মাথার বলে পরিচিত হলেও তাঁরও মেজাজ কখনও-সখনও গরম হত। সে রকমই একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন শোয়েব আখতার। জানিয়েছেন, এক বার রাগের চোটে তাঁর দিকে তেড়ে এসেছিলেন ‘ইন্দিরানগরের গুণ্ডা’ দ্রাবিড়। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, এমনকি ধাক্কাধাক্কিও হয়।
২০০৪-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্রাবিড় এবং শোয়েবের বাক্যবিনিময় অনেকেরই মনে রয়েছে। তবে শোয়েব যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি ২০০৪-এ ভারত বনাম পাকিস্তান সিরিজের। মহম্মদ কাইফের একটি কাজ পছন্দ না হওয়ায় রেগে গিয়েছিলেন শোয়েব। তখনই দ্রাবিড় তাঁর দিকে তেড়ে আসেন।
শোয়েব বলেছেন, “প্রথম বার রাহুলকে ও রকম আচরণ করতে দেখেছিলাম। সেই ম্যাচে আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে মরিয়া ছিল ও। আমরা একে অপরের দিকে তেড়ে যাই এবং ধাক্কাধাক্কি করি। তার আগে আমি বল করার সময় যখন লাফিয়ে উঠেছিলাম, তখন হঠাৎ কাইফ সরে গিয়েছিল। কিছু বলিনি, তবে ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম। ওকে আর যুবরাজকে পর পর আউট করে দিই।”
শোয়েবের সংযোজন, “আমরা সেই ম্যাচটা জেতার জায়গায় ছিলাম। তখন দ্রাবিড় হঠাৎই আমার দিকে তেড়ে আসে। প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘কেন এত উত্তেজিত হয়ে পড়ছ রাহুল? জানি গোটা বিশ্বে আবহাওয়া বদলাচ্ছে। কিন্তু তুমিও লড়াই করতে পারো এটা ভাবতেই পারছি না।’ সত্যিই অসাধারণ ঘটনা ছিল সেটা।”