ভারতীয় দল। ছবি: পিটিআই।
আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়ে কোনও রান না করে ফিরে গেলেন রোহিত শর্মা। দারুণ শুরু করেও নবীন উল হককে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন বিরাট কোহলি। তার পরেও ২৬ বল বাকি থাকতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিল। জিতিয়ে গেলেন দুই তরুণ যশস্বী জয়সওয়াল ও শিবম দুবে।
যশস্বীর ৩৪ বলে ৬৮ সব অর্থে নিখুঁত। শিবম তো অপরাজিতই থাকলেন ৩২ বলে ৬৩ করে। শিবম বলে গেলেন, ‘‘মনে হয় অধিনায়ক আমার খেলায় খুশি হবে। আমি আর জয়সওয়াল- দু’জনই স্ট্রোক খেলতে ভালবাসি। দু’জনে ঠিক করেছিলাম, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যাচ শেষ করব। বিরাট কিছু লক্ষ্য সামনে রাখিনি।’’
শিবমের আরও কথা, ‘‘হালফিলে ব্যাটিংয়ের অনেক জায়গা নিয়ে খেটেছি। শুধু দক্ষতা নয়। আমার এখন লক্ষ্য থাকে কোনও বলে যেন মনঃসংযোগ নষ্ট না হয়। বোলিংয়ে উন্নতি করারও চেষ্টা করছি। আগের ম্যাচে বলও ভালই করেছিলাম। এখানে সেটা পারলাম না। আসলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এ রকম।’’
নিজে রান না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ় জিতে খুশি রোহিত। বললেন, ‘‘নিজের দেড়শো-তম টি-টোয়েন্টি খেললাম। শুরুটা সেই ২০০৭ সালে। দারুণ লাগছে। ভাল লাগছে কী করতে হবে তা নিয়ে ছেলেদের পরিষ্কার ধারণা থাকতে দেখেও। সতীর্থদের এতটা দাপট নিয়ে খেলতে দেখলে সত্যি গর্ব হয়।’’
সংযোজন, ‘‘শিবম আর যশস্বীর কথা আলাদা করে বলতেই হবে। যশস্বী টেস্টটাও খেলছে একইসঙ্গে। কোনও সুযোগ কাজে লাগাতে ছাড়ছে না। শিবমের সুবিধে ওর শক্তি। স্পিনারদের বিরুদ্ধে অসম্ভব আগ্রাসী। এ ভাবেই ওকে খেলতে বলেছি আমরা। দলের জন্য পরপর দু’টি ম্যাচ অসাধারণ খেলল। দারুণ ব্যাপার!’’
পিচ ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ হলেও ম্যাচের সেরা হলেন অক্ষর পটেল। চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিলেন দু’টি উইকেটও। তাঁর কথা, ‘‘আমার কাছে আসল হল, দলের জন্য কী করতে পারলাম সেটাই। মনে হয় না কয়েক বছর পরে এই সব পরিসংখ্যান আমার মনে থাকবে। কিন্তু এটা বুঝছি যে এখন আমি আগের থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’’