দ্বিতীয় দিনে সাত উইকেট নিয়েছেন শার্দূল। ছবি: এএফপি
জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় দিনটা ছিল শার্দূল ঠাকুরের। সকালে যখন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা উইকেট পেতে ব্যর্থ, সেই সময় প্রথম সেশনে ৪.৫ ওভার বল করে ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে উইকেটের সংখ্যাটা দাঁড়ায় সাত। তাঁর সদ্য শুরু হওয়া টেস্ট কেরিয়ারে এটাই সেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে কোনও ভারতীয় বোলারদের মধ্যেও এটাই সেরা। এই সাফল্যের পিছনে তাঁর ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড মনে করছেন একাগ্রতাই মূল।
দ্বিতীয় দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে শার্দূল বলছিলেন তাঁর কোচ দীনেশের কথা। ভারতীয় পেসার বলেন, “দীনেশ স্যর আমার দ্বিতীয় অভিভাবকের মতো। আমার ক্রিকেট জীবনে ওঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। উনি আমাকে এমন সময় খুঁজে নিয়েছেন, যখন কেউ আমায় চিনত না। আমার জীবন বদলে দিয়েছেন উনি।” আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে শুরুতেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে দীনেশের গলায়। বলেন, “আমি এই মুহূর্তে সব চেয়ে সুখি মানুষ। মনে হচ্ছে সব কিছুর উপরে বসে আছি।”
শার্দূল যখন দীনেশের কাছে শেখা শুরু করেন ভারতীয় পেসারের বয়স তখন ১৫ বছর। গর্বিত কোচ বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ও খুব একাগ্র। যেটা ওর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।” কোচের মতে শার্দূল এখনও ছোটবেলার মতোই আছেন। সাফল্যের পরেও পাল্টে যাননি।
শার্দূলের ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড। —ফাইল চিত্র
ছাত্রের কোন জিনিস সব থেকে পছন্দ তাঁর কোচের? দীনেশ বলেন, “ভারতের বাকি পেস বোলারদের তুলনায় শার্দূলের বলের গতি কম। সেই জন্য অনেক সময় রানও দিয়ে ফেলে বেশি। কিন্তু তাতে ও কখনও নিজের আগ্রাসী বোলিং থেকে সরে আসে না। সেটাই আসল।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক ইনিংসে সাত উইকেট। এমন রেকর্ড আর কোনও ভারতীয় পেসারের নেই। ছোটবেলা থেকে দীনেশ কী ভাবে তৈরি করেছেন শার্দূলকে? তিনি বলেন, “আমি ওকে প্রচুর বল করাতাম। আমি জানতাম ও ব্যাট করতে পারে। তাই ওর ব্যাটিং নিয়ে জোর দিইনি। বোলারদের আমি বেশি করে বল করাই, ব্যাটারদের ব্যাট। দুটো দিকে একসঙ্গে নজর দিতে দিই না ছোটবেলায়।”