শাকিব আল হাসান। — ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবারই একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে তাঁর নাম। শনিবার সেই শাকিব আল হাসানকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশ বোর্ডকে একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহম্মদ রাফিনুর রহমান। বাংলাদেশ বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের পরেই জাতীয় দলে শাকিবের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
নোটিস দেওয়া আইনজীবী রাফিনুর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছেন, শাকিবের নামে আগেও অনেক রকমের অভিযোগ ছিল। এখন তাঁর নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আইসিসি এবং বিসিবি-র দুর্নীতি-বিরোধী আইনে বলা আছে, যখন পুলিশ কোনও অভিযোগ গ্রহণ করবে বা যখন কোনও ফৌজদারি অভিযোগ উঠবে, তখন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বোর্ড বিবেচনা করে তাঁকে সাময়িক ভাবে অপসারণ করতে পারে। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, যে হেতু এটা তদন্তাধীন বিষয়, তাই তাঁকে শুধু খেলা থেকে বাদ দিলেই হবে না শাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ডকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন ফারুক। তার পরে তিনি জানান, রবিবার প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী ফারুক বলেছেন, “আপনারা জানেন একটা মামলা হয়েছে। আইনি নোটিস এখনও পাইনি আমরা। ওটার ব্যাপারে বলতে পারব না। এফআইআর হয়েছে। এর পরে তদন্ত হবে। এই মুহূর্তে প্রথম টেস্ট চলছে। রবিবার টেস্টের পঞ্চম দিন। এই মুহূর্তে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার চিন্তাভাবনা করিনি। কালকের ম্যাচ শেষ হলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।”
ফারুক আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, “এফআইআর হয়েছে। শাকিবের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়নি। তার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ চলছে। বোর্ডের সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক খেলোয়াড় এবং কর্মচারীর মতো। কালকের পর সিদ্ধান্ত নিতে পারব। শাকিবের এখন খেলতে বাধা নেই। ম্যাচের মাঝখানে ওকে ফেরাতে পারব না।”