Jammu and Kashmir Terror Attack

পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি গাছে উঠে! সেই ভিডিয়ো এনআইএ-র হাতে, বড় হাতিয়ার হতে পারে তদন্তে

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য গাছে উঠে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন স্থানীয় এক চিত্রগ্রাহক। ঘটনার সেই ভিডিয়ো ফুটেজ এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২৭
Share:
হত্যাকাণ্ডের ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে পেল এনআইএ।

হত্যাকাণ্ডের ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে পেল এনআইএ। ছবি: সংগৃহীত।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য গাছে উঠে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন স্থানীয় এক চিত্রগ্রাহক। ঘটনার সেই ভিডিয়ো ফুটেজ এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। গোয়েন্দাদের একাংশের মত, ওই ভিডিয়ো ফুটেজে যে ভাবে জঙ্গিদের গতিবিধি ধরা পড়েছে, পরবর্তী কালে তা তদন্তে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হানায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক। এক জন স্থানীয় সহিস। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মূল প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে এক স্থানীয় চিত্রগ্রাহকের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একটি সূত্রে খবর, ওই চিত্রগ্রাহক গাছে উঠে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছিলেন। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে।

এনআইএ সূত্রে খবর, ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বৈসরন উপত্যকার সবুজ তৃণভূমির আশপাশে যে দোকানগুলি ছিল, তার পিছনে দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল। তারাই প্রথমে বেরিয়ে আসে এবং পর্যটকদের ধরে ধরে কলমা বলতে বলে। এর পরেই চার জনকে গুলি করে ওই দুই জঙ্গি। ভিডিয়োয় দেখা যায়, দুই জঙ্গি চার জনকে গুলি করে হত্যার পরেই আতঙ্কে উদ্‌ভ্রান্তের মতো এ দিক-ও দিক ছুটতে শুরু করেন আশপাশে থাকা মানুষজন। সেই সময় বাকি জঙ্গিরাও বেরিয়ে এসে গুলি ছুড়তে শুরু করে।

Advertisement

তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, ওই ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে বোঝা যাবে, জঙ্গিরা ঠিক কোথায় কোথায় লুকিয়ে ছিল। তা থেকে আরও স্পষ্ট হতে পারে, তারা কোন কোন সম্ভাব্য রাস্তা দিয়ে বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছেছিল এবং কোন রাস্তা দিয়ে তারা পালিয়েছে।

তবে শুধু ওই চিত্রগ্রাহক নন, আরও বেশ কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছে তারা। ফরেন্সিক বিশ্লেষণ হলে তা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement