শাহিন আফ্রিদি। ছবি: টুইটার।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলতে সে দেশে গিয়েছে পাকিস্তান। তার আগেই দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ়ের ডাক উপেক্ষা করে সিরিজ় থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। তাই নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এ বার উত্তর দিলেন শাহিন আফ্রিদি। জানালেন, নাম তুলে নেওয়া রউফের নিজের সিদ্ধান্ত। তাকে সম্মান করছে দল। কিন্তু রউফের অভাব যে অনুভূত হবে সেটা অস্বীকার করেননি তিনি।
বিগ ব্যাশ লিগে খেলার কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে খেলতে চাননি রউফ। প্রধান নির্বাচকের ডাকেও সাড়া দেননি। সেই নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে শাহিন বলেছেন, “হ্যারিস এর আগের টেস্ট সিরিজ়েও খেলেনি। নিঃসন্দেহে সাদা বলের ক্রিকেটে ও আমাদের দলের একটা বড় শক্তি। সেখানে ও-ই আমাদের আসল বোলার। সাদা বলের ক্রিকেটেই ওর থেকে বেশি প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে না খেলা ওর নিজস্ব মতমত। আমাদের মনে হয় প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। সফরের আগে ওর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ও জানিয়েছে, লাল বলের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে বিরাট প্রভাব ফেলার ক্ষমতা ওর নেই।”
এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে মাত্র একটিই টেস্ট খেলেছেন রউফ। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৯টি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে বাউন্সি পিচ হওয়ায় তাঁর বোলিং কাজে লাগতেও পারত। কিন্তু নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় আখেরে পাকিস্তানের বোলিংই কিছুটা দুর্বল হয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এ বারের বিশ্বকাপটা ভাল যায়নি রউফের। প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি রান দেওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র টেস্ট খেলা রউফকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লাল বলের সিরিজ়ে চাইছিলেন নতুন অধিনায়ক শান মাসুদ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে খেলতে চাননি রউফ। পাক পেসারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি নির্বাচক প্রধান। রিয়াজ় বলেন, “কোচ এবং অধিনায়ক চাইছিলেন রউফ টেস্টে খেলুন। তাঁদের মনে হয়েছে, রউফ টেস্টেও ভাল করতে পারবেন। বেশি কিছু তো চাওয়া হচ্ছে না। দিনে ১০-১২ ওভারের বেশি তো বল করতে হবে না। এটা তো এক দিনের ক্রিকেটেও করে থাকে রউফ।”