বেন স্টোকস (বাঁ দিকে), জফ্রা আর্চার (মাঝে) এবং শাকিব আল হাসান। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলের মিনি নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেওয়ার তালিকা ঘোষণা করে দিল। মোট ৯০ জন ক্রিকেটারকে ছাড়া হল। তার মধ্যে যেমন ছোটখাটো ক্রিকেটার রয়েছেন, তেমনই তারকাও রয়েছেন। সে রকমই সাত তারকা ক্রিকেটারকে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন:
বেন স্টোকস: চেন্নাই সুপার কিংস গত বছর ১৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল বেন স্টোকসকে। কিন্তু এ বছর স্টোকস খেলবেন না। আগেই নাম তুলে নিয়েছেন তিনি। ফলে ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছেন। গত বার মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ব্যাট হাতে মাত্র ১৮ রান করেছেন। একটি ওভার বল করে ১৮ রান হজম করেছেন। চোট থাকার কারণে তাঁকে খেলানো হয়নি।
হ্যারি ব্রুক: টেস্ট এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর ফর্ম দেখে ঘটা করে ১৩.২৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এক মরসুমেই মোহভঙ্গ হয়েছে তাদের। ইডেনে একটি শতরান ছাড়া বাকি মরসুমে আর কিছুই করতে পারেননি ব্রুক। ওপেন করতে নেমে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। এ বার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ: হাসরঙ্গকে ২০২২-এর মেগা নিলামে ১০.৭৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল আরসিবি। ২৬টি উইকেট নিয়ে আস্থার দাম রেখেছিলেন। কিন্তু গত বছর ৮ ম্যাচে মাত্র ৯ উইকেট নেন। ব্যাট হাতেও দাগ কাটতে পারেননি। তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে আরসিবি।
হর্ষল পটেল: ২০২১-এর আইপিএলে ৩২টি উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন এই অনামী বোলার। পরের বছর মেগা নিলামে ১০.৭৫ কোটি টাকা নিয়ে তাঁকে কেনে আরসিবি। সেই ধারাবাহিকতা আর দেখাতে পারেননি। ২০২২-এ ১৯ উইকেট এবং ২০২৩-এ ১৪ উইকেট নিয়েছেন। আরসিবি এ বার চাইছে অন্য বোলারকে নিতে।
জফ্রা আর্চার: ২০২২-এর মেগা নিলামে তাঁকে আট কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সে বছর জফ্রা খেলতে পারবেন না জেনেও নেওয়া হয়েছিল। এ বছরের আইপিএলে আর্চার খেললেও দাগ কাটতে পারেননি। ৫ ম্যাচে মাত্র ৪ রান করেছেন। বল হাতে ২০ ওভার করে ১৯০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। হাতে টাকা কম থাকায় আর্চারকে রাখতে রাজি হয়নি মুম্বই।
শাকিব আল হাসান: গত বছরের মিনি নিলামে প্রথমে অবিক্রিত ছিলেন। তার পরে দেড় কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে কেনে কলকাতা। কিন্তু আইপিএলে খেলতে রাজি হননি শাকিব। প্রথমে ঠিক ছিল দেরি করে আসবেন। পরে জানান, খেলবেনই না। তখন জেসন রয়কে কেনে কেকেআর। এ বার শাকিবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জো রুট: গত বছরের নিলামে তাঁকে এক কোটি টাকা দিয়ে কেনে রাজস্থান রয়্যালস। সেটাই ছিল রুটের প্রথম আইপিএল। সেখানে দাগ কাটতে ব্যর্থ রুট। ৩ ম্যাচে করেন ১০ রান। ২ ওভার করে হজম করেন ১৪ রান। তাঁকে আর রাখার ‘সাহস’ দেখায়নি রাজস্থান।