ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা শহরে গড়ে ওঠা নতুন বহুতলের অ্যাসেসমেন্ট এবং মিউটেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার ১২৮ এবং ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সঠিক নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি হয়নি। এ বার সেই বিষয় নিয়েই নড়েচড়ে বসল পুরসভা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, নতুন বিল্ডিংয়ের অ্যাসেসমেন্ট ও মিউটেশন হয়েছে কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করবে পুরসভা। শুধু তা-ই নয়, এই ব্যাপারে পুর কমিশনারকে নোটিসও দেওয়া হবে বলে জানান ফিরহাদ।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ‘‘১২৮ এবং ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্ট ছাড়াই বাড়ি তৈরি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।’’ সম্প্রতি, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার ইনস্পেকশন বুক কপি জাল করে বাড়ির প্ল্যান তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওই এলাকায় পাঁচতলা বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রোমোটার এবং জমির মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ফিরহাদ জানান, এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যে সব পুরকর্মী জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বিভেদের রাজনীতি করছে। সরকার এটা করতে পারে না। যখন রাজশক্তি পেটে ভাত দিতে পারে না, তখন ধর্ম দেখিয়ে রাজনীতি হয়। বর্তমানে বিজেপি সেটাই করছে। কারণ, মানুষ এখন না খেয়ে মরছে, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বেড়েই চলেছে।’’
রামনবমী প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বাংলায় রামনবমী চিরকাল ধরে হয়ে আসছে। আগামী দিনেও হবে। আমি নিজেই রামনবমী ও ইদ— দুই উৎসবেই প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক পাই।’’ দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত সিংহের বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে নিন্দা করেছেন ফিরহাদ। টেনেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটা যেমন লজ্জার, তেমনই বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়াটাও লজ্জার। হৃদয় থেকে নিরপেক্ষ হতে হবে।’’ ওয়াকফ বিল নিয়ে ফিরহাদের হুঙ্কার, (নরেন্দ্র) মোদী কোনও ওয়াকফ সম্পত্তিতে হাত দিয়ে দেখাক!