মুকেশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
মহম্মদ শামি ছাড়াও বাংলার একাধিক ক্রিকেটার ভারতীয় দলে জায়গা করে নিচ্ছেন। বিশ্বকাপের পর থেকে মুকেশ কুমার নিয়মিত খেলছেন। ডাক পেয়েছেন আকাশ দীপ এবং শাহবাজ় আহমেদও। নজরে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। আগামী বছর ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য এ বারের বাংলার ক্রিকেটারদের কাছে থাকছে অন্তত সাতটি ম্যাচ। বাংলার রঞ্জি পর্ব শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি থেকে।
ভারতের হয়ে এই বছর তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অভিষেক হয়েছে মুকেশের। বাংলার পেসারের উপর ভরসা করছে ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলেও রাখা হয়েছে তাঁকে। আগামী দিনের মহম্মদ শামি বলা হচ্ছে মুকেশকে। ভারতীয় দলের হয়ে এই বছর বাংলা থেকে খেলেছেন শাহবাজ় আহমেদও। অভিষেক না হলেও ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন আকাশ দীপ। গত বছর শেষ দিকে অভিমন্যু ঈশ্বরনকেও টেস্ট দলে ডাকা হয়েছিল। তাঁরও অভিষেক হয়নি। তবে বাংলার বেশ কিছু ক্রিকেটার এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে যে রয়েছেন তা বলাই যায়। রঞ্জিতে ভাল খেলেই এই সব ক্রিকেটারেরা ভারতীয় দলের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন।
এই মরসুমের রঞ্জি শুরু ৫ জানুয়ারি থেকে। বাংলা রয়েছে গ্রুপ বি-তে। লক্ষ্মীরতন শুক্লের প্রশিক্ষণে বাংলা রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচ খেলবে অন্ধ্রের বিরুদ্ধে। বিশাখাপত্তনমে হবে সেই ম্যাচ। পরের ম্যাচ কানপুরে। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১২ জানুয়ারি থেকে সেখানেই খেলবেন অভিমন্যুরা। বাংলার প্রথম ঘরের ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি থেকে। ছত্তিসগড়ের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ হবে ইডেনে। অসমের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে খেলবে বাংলা। সেই ম্যাচ শুরু ২৬ জানুয়ারি থেকে। পরের ম্যাচ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সেই ম্যাচ। কেরলের বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। গ্রুপের শেষ ম্যাচ বিহারের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ শুরু হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রঞ্জিতে গ্রুপ পর্বে এই সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে। তার পর নক আউটে উঠলে আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলা। গত বার ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল তারা। এই বছর মনোজ তিওয়ারি বাংলার হয়ে শেষ বার খেলতে নামবেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন রঞ্জি জেতার জন্যই আরও এক বার বাংলার জার্সি পরতে চান তিনি। গত বার ফাইনালে হারের পর অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন মনোজ। এই মরসুমে নিজেকে শেষ সুযোগ দিতে চান বাংলার বহু যোদ্ধার নায়ক।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা বলের প্রতিযোগিতায় বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুদীপ ঘরামি। তরুণ অধিনায়ক রঞ্জিতেও বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। গত মরসুমে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। এই মরসুমেও ভাল খেলে ভারতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে আসার সুযোগ থাকবে তাঁর কাছে। সেই সঙ্গে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা অভিষেক পোড়েলের কাছে সুযোগ তরুণ উইকেটরক্ষক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। আকাশ এবং মুকেশের সঙ্গে ঈশান পোড়েলের দায়িত্ব থাকবে বাংলাকে জেতানোর। ভাল খেলতে পারলে সুযোগ পেতে পারেন ঈশানও। নতুন কোনও ক্রিকেটার এ বারের রঞ্জিতে বাংলা থেকে উঠে আসেন কি না সেই দিকেও নজর থাকবে। রঞ্জি ট্রফিই হবে বাংলার ক্রিকেটারদের জন্য ভারতীয় দলের দরজা খোলার অন্যতম পথ। সেখানে ভাল খেলতেই সুদীপ, অভিষেকদের।