মমতা কি সাড়া দেবেন সৌরভের আমন্ত্রণে? ফাইল ছবি
দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে মমতা ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করার বিষয়ে এখনও মনস্থির করেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশাসনের অন্দরে আলোচনা করেছেন। শেষপর্যন্ত তিনি ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন না কি সৌরভকে সৌজন্যমূলক পাল্টা চিঠি দিয়ে নিজের অপারগতার কথা জানান, সেটাই দেখার।
বৃহস্পতিবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা গোয়ায় পৌঁছেছেন। সেখানে তাঁর নির্ধারিত রাজনৈতিক কর্মসূচি সেরে শহরে ফিরে তিনি এ ব্যাপারে বিশদে ভাবনাচিন্তা করবেন। প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ ফাইনাল ১৪ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, শারজা আন্তর্জাতিক বইমেলার তরফেও বৃহস্পতিবারই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতাকে। আগামী ২ নভেম্বর ওই বইমেলার উদ্বোধন হবে। পরদিন, অর্থাৎ ৩ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বইমেলা। সেখানেও যাওয়ার ব্যাপারেও আয়োজকদের কোনও পাকা কথা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে। তার আগের দিনই শেষ হচ্ছে শারজা বইমেলা। দুবাই এবং শারজার দূরত্ব সড়কপথে আধঘন্টা। আকাশপথে আরও অনেক কম। ফলে মুখ্যমন্ত্রী যদি শারজা বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, তা হলে পরদিনই দুবাইয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে থাকতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে দু’টি আমন্ত্রণই রক্ষা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে কলকাতায় অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন মমতা। তার আগে ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচেও স্টেডিয়ামে ছিলেন তিনি। সেই ম্যাচ আয়োজন করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্যোগী হয়েছিল তাঁর সরকার। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ইডেনে ভারত-বাংলাদেশ দিনরাতের ম্যাচেও উদ্বোধনেও সৌরভের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
খেলাধুলোর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আগ্রহ বরাবর রয়েছে। সৌরভের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথাও সুবিদিত। ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথম বার আইপিএল-এ জয়ী হওয়ার পর ইডেনে সেই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের কথা এখনও কেউই ভোলেননি।