সরফরাজ় খান। —ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি সরফরাজ় খান। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে সব থেকে ধারাবাহিক ক্রিকেটারকে আরও এক বার দলে নেননি নির্বাচকেরা। তার পরে নির্বাচকদের জবাব দিয়েছেন সরফরাজ়। মুখে কিছু বলেননি তিনি। একটি ভিডিয়োয় নিজের কথা জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার।
সরফরাজ় একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দিয়েছেন। সেখানে প্রথমেই তাঁর পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৩ ইনিংসে ৩৩৮০ রান করেছেন তিনি। গড় ৮০.৪৮। ১২টি শতরান ও ন’টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। সর্বাধিক রান অপরাজিত ৩০১। তার পরেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সরফরাজ়ের একটি ইনিংস। গত মরসুমে দিল্লির বিরুদ্ধে খেলা তাঁর একটি শতরানের ইনিংসের ভিডিয়ো দিয়েছেন তিনি। উইকেটের চার দিকে তাঁকে খেলতে দেখা যাচ্ছে। তিনি হয়তো নির্বাচকদের বোঝাতে চেয়েছেন যে লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর উপর ভরসা দেখাতে পারতেন তাঁরা।
গত তিনটি রঞ্জি মরসুমে যথাক্রমে ৯২৮, ৯৮২ ও ৫৫৬ রান করেছেন সরফরাজ়। কিন্তু তার পরেও তিনি ভারতীয় দলে ব্রাত্য। সরফরাজ়কে দলে না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ সুনীল গাওস্কর। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘গত তিন মরসুম ধরে ১০০ গড়ে রান করেছে সরফরাজ়। এর পরেও দলে সুযোগ পায়নি। সুযোগ পেতে ওকে আর কী করতে হবে? প্রথম একাদশে না খেলালেও ওকে অন্তত দলে নেওয়া উচিত ছিল।’’
আইপিএলে ভাল খেলায় ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। গাওস্করের প্রশ্ন, তা হলে কি দলে সুযোগ পেতে হলে আইপিএলে ভাল খেললেই চলবে? তিনি বলেছেন, ‘‘সরফরাজ়কে বলে দেওয়া হোক যে রঞ্জি খেলে কোনও লাভ নেই। শুধু আইপিএলে ভাল খেললেই লাল বলের ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়া যাবে। তা হলে হয়তো ওকে আর এত পরিশ্রম করতে হবে না।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট, তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। ১২ জুলাই থেকে শুরু প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২০ জুলাই থেকে। ২৭ জুলাই, ২৯ জুলাই ও ১ অগস্ট হবে তিনটি এক দিনের ম্যাচ। ৩ অগস্ট থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ়। শেষ হবে ১৩ অগস্ট। মাঝের তিনটি ম্যাচ হবে যথাক্রম ৬, ৮ ও ১২ অগস্ট।