ধরমশালা স্টেডিয়াম। ছবি: টুইটার।
এক দিনের বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ধর্মশালা। বুধবার আইসিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নতুন আউটফিল্ড এবং উইকেট দেখে তাঁরা খুশি।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, কোনও সমস্যা নেই। নিয়মমাফিক বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলি পরিদর্শন করছেন আইসিসির প্রতিনিধিরা। ধর্মশালার প্রস্তুতি দেখে তাঁরা খুশি। তিনি বলেছেন, ‘‘আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসে। মাঠ, সাজঘর-সহ স্টেডিয়ামের সব কিছু খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বে এই পরিদর্শন স্বাভাবিক। মাঠের নতুন আউটফিল্ড এবং উইকেট দেখে তাঁরা খুশি। খুব দ্রুত তাঁরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবেন। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে গত এক বছর ধরে উন্নয়নের নানা কাজ করেছি আমরা। বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’’ বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ হওয়ার কথা ধর্মশালায়। সেগুলির অন্যতম ২২ অক্টোবরের ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ।
বিশ্বকাপের জন্য বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। তৈরি করা হয়েছে নতুন আউটফিল্ড, ২২ গজ। সাজঘর-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে কারণে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব নিতে চাননি হিমাচল প্রদেশের ক্রিকেট কর্তারা। আত্মবিশ্বাসী ধুমল বলেছেন, ‘‘আমরা নতুন করে আউটফিল্ড তৈরি করেছি। আইপিএলে যে ক্রিকেটারেরা এখানে খেলে গিয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন কেমন হয়েছে। সকলেই নতুন আউটফিল্ডের প্রশংসা করেছে। উচ্চমানের ঘাস ব্যবহার করা হয়েছে। অনেকে দেখে বিশ্বাসই করতে পারেনি, ঘাসগুলি আসল। আমরা একটা বিশ্বমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম উপহার দিতে চাই।’’ মাঠের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধুমল।
আইসিসির প্রতিনিধিদের বিশ্বকাপের আরও কয়েকটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তার পর এক সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। কোনও স্টেডিয়ামে কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজন থাকলেও জানাবেন আইসিসি প্রতিনিধিরা।