Rohit Sharma

টেস্টে নেতা হওয়ার কোনও ইচ্ছাই ছিল না রোহিতের, জোর করেছিলেন সৌরভরা!

বোর্ডের কর্তারা জোর করে রোহিতকে অধিনায়ক করেছিলেন বলে বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। বিরাট লাল বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ার পর নেতা হন রোহিত। তাঁর ইচ্ছাই ছিল না এই দায়িত্ব নেওয়ার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ১২:৪৮
Share:

রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক হন রোহিত শর্মা। জানুয়ারি মাসে বিরাট কোহলি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর রোহিতকেই বেছে নেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। তার আগে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে ছিলেন এবং এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাদা বলের ক্রিকেটে আগেই রোহিতকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত রাজি ছিলেন না দায়িত্ব নিতে।

Advertisement

বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “বোর্ডের সেই সময়ের সব থেকে উপরে থাকা দু’জন ব্যক্তি রোহিতকে রাজি করান নেতা হওয়ার জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকায় লোকেশ রাহুল নেতা হিসাবে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই রোহিতকেই রাজি করানো হয়।” গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব ছিলেন জয় শাহ।

রোহিতের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ ব্যবধানে টেস্টে হারায় ভারত। কিন্তু ইংল্যান্ডে গিয়ে একটি টেস্ট খেলার সময় করোনা হয়েছিল রোহিতের। তাই খেলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও গত বছর টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। রোহিতের সেই সময় আঙুলে চোট ছিল। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। সেখানে নেতৃত্ব দেন রোহিত। কিন্তু এর পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে যায় ভারত।

Advertisement

ফাইনালের হারের পর থেকেই রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বোর্ডের সেই কর্তা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, “রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হবে বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। এটা ঠিক যে, আগামী দু’বছর রোহিতকে পাওয়া যাবে কি না সেটা স্পষ্ট নয়। কারণ ২০২৫ সালে রোহিতের ৩৮ বছর বয়স হয়ে যাবে। তবে রোহিত আগামী দিনে খেলবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন শিবসুন্দর দাস এবং নির্বাচক কমিটির বাকিরা। রোহিতের ব্যাটিং ছন্দ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর আমাদের ডিসেম্বরের আগে কোনও টেস্ট নেই। বছরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে ভারত। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক সময় পাবেন নির্বাচকরা। সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচকও পেয়ে যাবে ভারত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement