Rohit Sharma

আফগানিস্তান ম্যাচে আম্পায়ারকে ভর্ৎসনা! ঘটনার ৪৮ দিন পর মুখ খুললেন রোহিত

মাঠে রোহিতের কথা প্রায়ই ধরা পড়ে স্টাম্প মাইকে। কখনও কখনও বিতর্কও তৈরি হয়। কেন মাঠে এত কথা বলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক? ধর্মশালা টেস্টের আগে জবাব দিলেন রোহিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ২০:১০
Share:

রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।

স্টাম্প মাইক্রোফোনে মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে রোহিত শর্মার কথা। কখনও কোনও সতীর্থের সঙ্গে, আবার কখনও আম্পায়ারদের সঙ্গে। রোহিতের সে সব কথা সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়। গত ১৭ জানুয়ারি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারকে বলা রোহিতের একটি কথা ভাইরাল হয়েছিল। কার্যত ভর্ৎসনা করেছিলেন রোহিত। তা নিয়ে বিলাসপুরে এক অনুষ্ঠানে উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।

Advertisement

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন রোহিত। তৃতীয় ম্যাচের প্রথম বলে রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বল তাঁর ব্যাটে সামান্য ছুঁয়ে বাউন্ডারিতে চলে যায়। যদিও সেই ম্যাচের অন্যতম আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা লেগ বাই দিয়েছিলেন। কিছুটা পরে বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন রোহিত। রানের খোঁজে থাকা ভারত অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি। বিরক্ত রোহিতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘বীরু আগের বলটা থাই প্যাডে লেগেছে বলে মনে হল তোমার! ব্যাটে এতটা লাগল বলটা। আগের দুটো ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছি।’’ রোহিতের এই কথা তখনই ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে।

আম্পায়ারকে কেন ওরকম বলেছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বলেছেন, ‘‘পর পর দুটো ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর প্রথম রান খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। আমি ব্যাটে খেলে চার মেরেছিলাম। আম্পায়ার সম্ভবত সেটা দেখতে পাননি। তিনি লেগ বাইয়ের নির্দেশ দেন। ব্যাট করার সময় খুব একটা স্কোর বোর্ডের দিকে তাকাই না। ব্যাট করাতেই মন থাকে। ওভার শেষ হওয়ার পর স্কোর বোর্ডের দিকে চোখ গিয়েছিল। তখনও আমার নামের পাশে শূন্য রান দেখাচ্ছিল। বুঝতে পারিনি চার মারার পরেও কেন শূন্য দেখাচ্ছে! সে জন্যই বীরুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম।’’

Advertisement

রোহিতকে প্রশ্ন করা হয়, আজকাল প্রায়ই আপনার কথা স্টাম্প মাইকে শোনা যায়। এখন কি মাঠে বেশি কথা বলছেন? রোহিত বলেছেন, ‘‘দেখুন আমার প্রচারে আসার কোনও ইচ্ছা নেই। ইচ্ছাকৃত কথা বলি না। আমি এখন দলের অধিনায়ক। এখন অধিকাংশ সময় স্লিপে ফিল্ডিং করি। ওখান থেকে সব ফিল্ডারকে ভাল ভাবে দেখা যায়। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়। তবে একা সিদ্ধান্ত নিই না। সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। স্লিপে দাঁড়িয়ে অন্যদের সঙ্গে কথা বললে স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ে। তা ছাড়া কিছু নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement