২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জেতার পরে ট্রফি নিয়ে ভারতীয় দলের উৎসব ফাইল চিত্র।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালে তবেই শেষ আটে উঠতে পারত ধোনির ভারত। আর সেই ম্যাচে তরুণ রোহিত শর্মা করেছিলেন ৪০ বলে অপরাজিত ৫০ রান। ফাইনালেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ দিকে নেমে ১৬ বলে ৩০ করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ছিল শেষ বলে সাইট স্ক্রিনে মারা একটি ছক্কা। ভারতের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে রোহিতই একমাত্র সদস্য, যাঁর বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাঁর উপরে বড় ভরসা করছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলী।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে রোহিতের রান ছিল ৮৮। সর্বোচ্চ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস। ২০০৯ সালে পাঁচ ম্যাচে ১৩১ রান করেছিলেন রোহিত। সে বারেও ৫২ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেন হিটম্যান। ২০১২ সালের বিশ্বকাপে একটি ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস-সহ ৮২ রান করেন রোহিত।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিতের পারফরম্যান্স ছিল সবথেকে ভাল। মোট ছ’ম্যাচে ২০০ রান করেন হিটম্যান। দু’টি অর্ধশতরানের মধ্যে ছিল অপরাজিত ৬২ রানের একটি ইনিংস। তবে দু’বছর পরে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খুব একটা ভাল পারফর্ম করতে পারেননি ভারতের এই ওপেনার। পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৮৮ রান করেন। সর্বোচ্চ ৪৩।
বিশ্বকাপে কোহলীর অন্যতম ভরসা রোহিত
চলতি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছন্দে ছিলেন রোহিত। সেই ছন্দ মূল পর্বেও ধরে রাখতে চাইবেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতা দলের বড় সম্পদ। রোহিত-রাহুল ওপেনিং জুটির উপর অনেকটাই ভরসা করছে দল। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে রোহিত কেমন শুরু করেন সে দিকে তাকিয়ে ক্রিকেট প্রেমী জনতা।