রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) ও বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
গত দু’বছরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি ডোপ টেস্ট হয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মার। কিন্তু বিরাট কোহলি-সহ ১২ জন ভারতীয় ক্রিকেটারকে পরীক্ষার জন্য ডাকাই হয়নি। এমনটাই জানানো হয়েছে এক আরটিআই (তথ্যের অধিকার) রিপোর্টে। কোনও ক্রীড়াবিদ নিজের পারফরম্যান্স ভাল করার জন্য বেআইনি কোনও ওষুধ খাচ্ছেন কি না সেটি ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে। কোনও ক্রীড়াবিদের নমুনায় বেআইনি ওষুধ পাওয়া গেলে তাঁকে শাস্তি পেতে হয়।
২০১৯ সাল থেকে ক্রিকেটারদের ডোপ টেস্টের দায়িত্বে রয়েছে ‘ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি’ (নাডা)। সেই সংস্থায় ২০২১ ও ২০২২ সালে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উপর ১১৪টি ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের নিয়ে ৫৯৬১টি ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১.৯১ শতাংশ, অর্থাৎ ১১৪টি টেস্ট করা হয়েছে ক্রিকেটারদের নিয়ে। সব থেকে বেশি ১৭১৭টি টেস্ট করা হয়েছে অ্যাথলিটদের।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি ডোপ টেস্ট হয়েছে রোহিতের, ছ’বার। ঋষভ পন্থ, সূর্যকুমার যাদব, চেতেশ্বর পুজারার এক বার করে টেস্ট করা হয়েছে। কিন্তু ১২ জন এমন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁদের এই দু’বছরে এক বারও ডোপ টেস্ট করা হয়নি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিরাট। তিনি ছাড়া হার্দিক পাণ্ড্য, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ়, উমেশ যাদব, শার্দূল ঠাকুর, আরশদীপ সিংহ, শ্রেয়স আয়ার, দীপক হুডা, সঞ্জু স্যামসন, শ্রীকর ভরত ও ওয়াশিংটন সুন্দরের এক বারও ডোপ টেস্ট করা হয়নি।
তবে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ভারতের প্রত্যেক মহিলা ক্রিকেটারের ডোপ টেস্ট হয়েছে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ও সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানার সব থেকে বেশি তিন বার করে ডোপ টেস্ট হয়েছে।