হতাশ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
বেঙ্গালুরুতে ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৬ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের ইনিংস। কিউয়ি পেসারদের বল বুঝতেই পারেননি ভারতের ব্যাটারেরা। প্রশ্ন উঠছে টসে জিতে রোহিত শর্মার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। দ্বিতীয় দিনের খেলার পর রোহিত স্বীকার করে নিলেন, তিনি পিচ বুঝতেই পারেননি। দোষ চাপিয়েছেন কিছু সতীর্থের ঘাড়েও।
অতীতে বার বার টসে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোহিতের বিরুদ্ধে। তার ফলও ভোগ করতে হয়েছে ভারতকে। তবে আগে এ ভাবে রোহিতকে কখনোই ভুল স্বীকার করতে দেখা যায়নি। দিনের খেলা শেষের পর সাধারণত অন্য কোনও ক্রিকেটারেরাই সাংবাদিক বৈঠকে আসেন। এ দিন অধিনায়ক রোহিত নিজেই চলে এসেছিলেন। সেখানে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।
রোহিত বলেছেন, “এই পিচে পেসারেরা সাহায্য পেয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি সেটা হতে পারে। ভেবেছিলাম প্রথম সেশনের পরে পেসারেরা সাহায্য পাবে না। পিচে ঘাসও ছিল না বেশি। তাতেও আমরা মাত্র ৪৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছি। তাই শট নির্বাচন যে ঠিক ছিল না এটা বোঝাই যাচ্ছে। খুব খারাপ একটা দিন গেল। অনেক সময় কিছু একটা করার ইচ্ছা থাকলেও আপনি করতে পারেন না। আজ সে রকমই একটা দিন।”
এর পরেই রোহিত জানিয়েছেন, তাঁর আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বলেছেন, “আমিই প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা পিচ বুঝতে ভুল হয়েছে। ভেবেছিলাম পাটা উইকেট হবে। ভাল করে পিচ পড়তে পারিনি।” একই সঙ্গে বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার মতো মন্তব্য করেছেন, “অধিনায়ক হিসাবে ৪৬ রানের স্কোরটা দেখতেও খারাপ লাগছে। কারণ টসে আমিই গিয়েছিলাম। তবে বছরে একবার-দু’বার খারাপ সিদ্ধান্ত নিলে এত চাপে পড়ার কিছু নেই।”
শুভমন গিল চোটে ছিটকে যাওয়ায় তিন নম্বর স্থানে কে নামবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিল। সেখানে পাঠানো হয় বিরাট কোহলিকে। দীর্ঘ আট বছর পর টেস্টে তিনে খেললেন তিনি। সেই জায়গায় কি কেএল রাহুল বা সরফরাজ খানকে আনা যেত না?
প্রশ্ন শুনে রোহিতের জবাব, “আমরা কেএলের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে খুব একটা নাড়াচাড়া করতে চাই না। ছ’নম্বরে ও থিতু হয়ে গিয়েছে। তাই ওকে ওখানেই খেলানো উচিত। একই কথা সরফরাজের ক্ষেত্রেও বলব। যে পজিশনে ও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে সেখানেই খেলাতে চেয়েছিলাম। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ওর কাছে নতুন। তাই বিরাটই এগিয়ে এসে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিল। আমাদের আলোচনা হয়েছিল। বিরাট কোনও আপত্তি করেনি। সতীর্থেরা এ ভাবে দায়িত্ব ভাগ করে নিচ্ছে দেখে ভাল লেগেছে।”