প্রস্রাব না করে বসে থাকতে হয়েছিল কার্তিককে। —ফাইল চিত্র
বীরেন্দ্র সহবাগ একাধিক বার জানিয়েছেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যখন ব্যাট করছিলেন তখন তাঁকে নিজের আসন ছেড়ে উঠতে দেননি সচিন তেন্ডুলকর। ভারত না জেতা অবধি বসিয়ে রেখেছিলেন। এই ঘটনা কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে এক বার ঘটেনি। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শৌচাগারে যেতে পারেননি দীনেশ কার্তিক। প্রস্রাব না করে এক জায়গায় বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
এই ঘটনা ঘটেছিল ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে। সেই ম্যাচেই স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছ’বলে ছ’টি ছক্কা মেরেছিলেন যুবরাজ সিংহ। সেই সময় প্রস্রাব করতে যেতে চেয়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু সতীর্থরা তাঁকে বসিয়ে রেখেছিলেন। সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন সেই ম্যাচে যুবরাজ-কার্তিকের সতীর্থ রবিন উথাপ্পা।
টেলিভিশন চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো বার্তায় ১৫ বছর আগের সেই ঘটনার কথা জানিয়েছে উথাপ্পা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি আউট হওয়ার পরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন যুবরাজ। তার পরেই অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি ও পরের ওভারেই যুবরাজের সেই রুদ্রমূর্তি। উথাপ্পা বলেন, ‘‘আমি আউট হওয়ার পরে সাজঘরে গিয়ে প্যাড-গ্লাভস খুলে নীচে নামতে নামতে যুবরাজের সঙ্গে ফ্লিনটফের কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছিল। ডাগআউটে বসে বুঝতে পারছিলাম যুবরাজ উত্তেজিত।’’
উথাপ্পা জানিয়েছেন, তাঁরা বুঝতে পারছিলেন যুবরাজ কিছু একটা করবেন। কিন্তু পর পর ছ’টি ছক্কা মেরে দেবেন সেটা বুঝতে পারেননি। উথাপ্পা বলেন, ‘‘যুবরাজ যখন প্রথম ছক্কা মারল তখন বুঝতে পারলাম ও কতটা রেগে আছে। তার পর একের পর এক বল উড়ে গেল বাউন্ডারির বাইরে। কার্তিকের প্রস্রাব পেয়েছিল। কিন্তু ওকে সবাই বসিয়ে রেখেছিল। আমরা কেউ আসন ছেড়ে নড়িনি। ওভার শেষ হওয়ার পরেই উৎসব করেছিলাম।’’
২০০৭ সালে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। সে বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধোনির ভারত। তার পর থেকে আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ভারত। ১৫ বছরের খরা কাটাতে চাইছেন রোহিত শর্মারা। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া তাঁরা।