৩০ ডিসেম্বর ভোরে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র
মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে ঋষভ পন্থকে। গাড়ি দুর্ঘটনার পর দেহরাদূনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ভারতীয় উইকেটরক্ষকের। এ বার মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এমনটাই সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্তা শ্যাম শর্মা। দেহরাদূন থেকে মুম্বইয়ে পন্থকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
৩০ ডিসেম্বর ভোরে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন পন্থ। নিজেই গাড়ি চালিয়ে দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় রুরকির হমদপুর ঝলের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে, মাথায়, পিঠে এবং পায়ে চোট লেগেছে পন্থের। কাছেই একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানকার চিকিৎসক সুশীল নগর জানিয়েছিলেন যে, পন্থের অবস্থা স্থিতিশীল। পরে তাঁকে দেহরাদূনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শ্যাম শর্মা বলেন, “ঋষভ পন্থকে বুধবারই মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে। বাকি চিকিৎসা হবে ওখানেই।”
এর আগে শ্যাম শর্মাই জানিয়েছিলেন পন্থকে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে দেহরাদূনের হাসপাতাল। শ্যাম বলেছিলেন, “সংক্রমণের ভয়ে আমরা পন্থের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যাতে পন্থকে আলাদা কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা করেছেন। ও এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।” গত শনিবার যদিও পরিস্থিতি আলাদা ছিল। সেদিন পন্থের এক পারিবারিক বন্ধু উমেশ কুমার বলেন, “পন্থকে এখনই অন্য কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। ওর অবস্থার আগের থেকে সামান্য উন্নতি হয়েছে। শুক্রবারই ওর কপালে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে।”
পন্থের দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে পন্থ নিজেই বলেছিলেন যে, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে ভারতীয় উইকেটরক্ষক বলেন যে, রাস্তায় গর্ত ছিল। সেই কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। কোনটা ঠিক তা এখনও জানা যায়নি। সকলেই চাইছেন পন্থ আগে সুস্থ হয়ে উঠুক। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পন্থকে দেখতে এসেছেন রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, ক্রীড়া আধিকারিক থেকে শুরু করে অভিনেতা। হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আসছেন তাঁরা। তাতে পন্থের বিশ্রামে অসুবিধা হচ্ছে বলে দাবি করেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালে রোগীকে দেখতে আসার সময় বেলা ১১টা থেকে ১টা ও বিকাল ৪টে থেকে ৫টা। কিন্তু যে হেতু পন্থ খ্যাতনামী, তাই ওঁর ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। যে কোনও সময় ওঁকে দেখতে আসা যাবে। তাতেই সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক।