চেন্নাইয়ে ব্যাটিংয়ের সময় ঋষভ পন্থ (বাঁ দিকে) ও শুভমন গিল। ছবি: পিটিআই।
এক জন ৬৩২ দিন পরে টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। অন্য জন প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরে নেমেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন দু’জনেই। ১৬৭ রানের জুটি বেঁধেছেন ঋষভ পন্থ ও শুভমন গিল। এই জোড়া শতরানের রহস্য ফাঁস করলেন পন্থ।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। তখন শুভমন ব্যাট করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন পন্থ। তিনি যখন আউট হন তখন দলের রান ২৪৪। তার মাঝে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেছেন পন্থ। তিনি আউট হওয়ার পরে শতরান করেন শুভমন। ১১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। পন্থের মতে, মাঠের বাইরে তাঁদের বন্ধুত্বের জন্যই এত ভাল ইনিংসে খেলতে পেরেছেন তাঁরা। মাঠে তাঁদের বোঝাপড়া এত ভাল হয়েছে।
বাংলাদেশকে হারানোর পরে পন্থ বলেন, “আমি একটা কথা বুঝেছি, যখন মাঠের বাইরে কারও সঙ্গে আপনার খুব ভাল সম্পর্ক থাকে, তখন সেটা মাঠেও দেখা যায়। শুভমনের সঙ্গে আমার সেটাই হয়েছে। মাঠের বাইরে আমরা খুব ভাল বন্ধু। তাই একসঙ্গে ব্যাট করতে সুবিধা হয়। আমরা একে অপরের খেলা বুঝি। ইশারা বুঝি। খুব বেশি চাপ নিই না। মজা করি, গল্প করি। খেলার বিষয়ে খুব কম কথা বলি। নিজেকে স্বাভাবিক রাখি। চেন্নাইয়েও সেটাই হয়েছে।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে শতরানের পথে নিজের বিরুদ্ধে নিজেই ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন পন্থ। তিনি কেন সেই কাজ করেছিলেন তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। পন্থ জানিয়েছেন, খেলার উন্নতির জন্য এই কাজ করেছেন তিনি। ভারতের ব্যাটার বলেন, “আমি মনে করি, আপনি যেখানেই খেলুন না কেন, সব সময় ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভাবতে হবে। তাই আমি ওদের ফিল্ডিং সাজাতে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম। আমার খুব মজা লেগেছে।”
৬৩২ দিন পরে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ম্যাচেই শতরান করেছেন পন্থ। বড় রান করার জন্য তিনি মুখিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ভারতের ব্যাটার। পন্থ বলেন, “শুরুতে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু মনের মধ্যে আগুন জ্বলছিল যে, বড় রান করতে হবে। খুব বেশি কিছু ভাবিনি। শতরান করতে পেরে আমি খুশি।”