(বাঁদিকে) রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
প্রায় এক বছর পর বাড়ি ফিরলেন ঋষভ পন্থ। গত ৩০ ডিসেম্বর বাড়ি ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তার পর আর বাড়ি যাওয়া হয়নি তাঁর। দীর্ঘ চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম বাড়ি গেলেন তিনি।
এ বার আর গাড়িতে নয়। হেলিকপ্টারে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছেছেন পন্থ। মঙ্গলবার তিনি সহস্রধারা হেলিপোর্টে গিয়ে নামেন। সেখান থেকে সোজা বাড়ি যান পন্থ। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে কয়েক দিনের ছুটি পেয়েছেন তিনি। নতুন জীবন পাওয়ায় কেদারনাথ এবং বদ্রিনাথে পুজো দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। পন্থের পারিবারিক বন্ধু এবং স্থানীয় বিধায়ক উমেশ কুমার তাঁর কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ দর্শনের ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্যও হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, পাহাড়ে হেঁটে উঠতে পারবেন না তিনি। চিকিৎসকেরা অনুমতি দেননি। মুম্বইয়ে চিকিৎসার শেষ পর্বেও এক বার কেদারনাথ যেতে চেয়েছিলেন পন্থ। কিন্তু তখন চিকিৎসকদের অনুমতি পাননি। এ বার ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্যও কেদার ও বদ্রী ধামে প্রার্থনা করবেন তিনি, যাতে রোহিত শর্মারা বিশ্বকাপ জিততে পারেন।
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গত মাস থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন পন্থ। ব্যাটিং, ফিল্ডিং অনুশীলন করছেন। কিছু দিন আগে উইকেট রক্ষার অনুশীলনও শুরু করেছেন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে একটি প্রদর্শনী ম্যাচও খেলেছেন তিনি। ভিভিএস লক্ষণ এশিয়ান গেমসে কোচ হয়ে যাওয়ায় বোর্ডের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরিবারের সঙ্গে কয়েক দিন কাটিয়ে আবার বেঙ্গালুরু ফিরবেন তিনি।
দিল্লি থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে রুরকির বাড়িতে যাচ্ছিলেন পন্থ। পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহের উদ্যোগে পন্থকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল বোর্ড। সুস্থ হয়ে ওঠার পর বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকেডেমিতে রিহ্যাব চলেছে তাঁর।