ফাইল চিত্র।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ভারতীয় দল। আর প্রথম দিনের শুরুতেই দেখা গেল ক্রিকেটারদের ক্লাস নেওয়া শুরু করেছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
এ দিন দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুশীলনের শুরুতেই ক্রিকেটারদের গোল করে ডেকে নেন দ্রাবিড়। তার পরে কিছুটা সময় ধরে চলল গুরু দ্রাবিড়ের ক্লাস। যে ভিডিয়ো গণমাধ্যমে তুলে ধরেছে ভারতীয় বোর্ড। এ দিন ভারতীয় দলের নেটে দেখা গেল স্কুপ এবং রিভার্স স্কুপ শট অনুশীলন করছেন দীনেশ কার্তিক। সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে আছেন তিনি।
দু’বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে খেলে যেতে হয়েছে। যে কারণে অনেক ক্রিকেটারই মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কেউ কেউ নিজেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন দল থেকে। এই অবস্থায় আসন্ন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে কোনও জৈব বলয় থাকবে না বলে ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ঋষভ পন্থ।
একটি পডকাস্টে ঋষভ বলেছেন, ‘‘জৈব বলয়ের বাইরে থাকতে পারব ভেবে খুবই ভাল লাগছে। আশা করব, ভবিষ্যতেও আর এই বলয়ের মধ্যে থাকতে হবে না। এত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে! এ বার এর বাইরে আসতে পারব ভেবেই স্বস্তি পাচ্ছি।’’
আগামী ৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়। প্রথম ম্যাচই দিল্লিতে। ঋষভের ঘরের মাঠে। মানসিক ভাবে তাজা থেকে মাঠে নামাটা যে কতটা জরুরি, তা পরিষ্কার ঋষভের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রায় সারা বছর ধরে খেলে যেতে হয় চাপের মধ্যে। যে কারণে মানসিক ভাবে ফুরফুরে থাকাটা খুব জরুরি।’’ যোগ করেন, ‘‘মানসিক ভাবে তাজা না থাকলে মাঠে নেমে একশো ভাগ দেওয়া যায় না। তাই মানসিক দিকটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই সিরিজ়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরার মতো সিনিয়রদের বাইরে রেখে দল গড়েছে ভারত। নতুন মুখ যেমন সুযোগ পেয়েছে, তেমন ফিরিয়ে আনা হয়েছে দীনেশ কার্তিকের মতো সিনিয়রকেও। আইপিএলে ফিনিশারের ভূমিকায় কার্তিকের বিধ্বংসী ব্যাটিং তাঁকে জাতীয় দলে ফের জায়গা করে দিয়েছে। এ বার প্রশ্ন উঠছে, পন্থ আর কার্তিককে একই সঙ্গে দলে রাখা কি সম্ভব? ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করেন, কার্তিককে অবশ্যই ফিনিশারের ভূমিকায় খেলানো উচিত। যে কাজটা আগে করতেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পন্থ এমনিতে প্রথম চারে ব্যাট করতেই পারেন।
তাঁর নিজের শক্তিটা কী? এই প্রশ্নের জবাবে ঋষভ পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে পরিচিতি পেতে চান। ঋষভের কথায়, ‘‘আমি যখনই মাঠে নামি, তখনই চেষ্টা করি একশো শতাংশ দেওয়ার। কিন্তু আমি সব সময়ই এক জন উইকেটকিপার-ব্যাটার। ছোটবেলায় আমি কিপার হিসেবেই শুরু করেছিলাম। আমার বাবাও এক জন কিপার ছিলেন। যে কারণে আমি উইকেটকিপার হিসেবে খেলা শুরু করি।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।