রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংহকে বোধ হয় আর বিশ্বের কোনও মাঠেই আটকানো যাবে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছক্কা মারা এখন তাঁর কাছে জলভাত। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রিঙ্কুর মারা একটি ছয় ১০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। এখানেও সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি!
২০ ওভারের ক্রিকেট মানেই এখন রিঙ্কু ঝড়। কলকাতা বা ভারত যে জার্সিই গায়ে থাকুক তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া হলেও রিঙ্কুকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। তাঁর মারা একটি ছক্কা নিয়ে চর্চা চলছে ক্রিকেট মহলে। যা গিয়ে পড়ে ১০০ মিটার দূরে। এ ছাড়া রিভার্স সুইপ করেও ছক্কা মারেন রিঙ্কু।
কী ভাবে অনায়াসে এমন ছক্কা মারতে পারো তুমি? খেলা শেষ হওয়ার পর রিঙ্কুকে প্রশ্ন করেছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জীতেশ শর্মা। রিঙ্কু প্রথমে এড়িয়ে যেতে চান। তিনি উত্তরে বলেন, ‘‘তুমি তো জানোই। কারণ আমার সঙ্গে জিম করো। আমি ভাল খাবার খাই আর জিমে একটু ওজন তুলি। তা থেকেই শক্তি পাই।’’
জীতেশের প্রশংসা করেছেন রিঙ্কুও। এশিয়ান গেমসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল পঞ্জাবের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। তবে ভারতের জার্সি গায়ে দেশের মাঠে প্রথম খেললেন শুক্রবার। জীতেশ এবং রিঙ্কু আবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জীতেশের কাছে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান রিঙ্কু। জীতেশ বলেন, ‘‘আমি শেষ খেলেছিলাম চিনের মাটিতে এশিয়ান গেমসে। আফগানিস্তান সঙ্গে খেলা ছিল। এত দর্শকের সামনে দেশের হয়ে প্রথম খেললাম। দারুণ একটা অনুভূতি হয়েছে। আরও ভাল লেগেছে, তোমার সঙ্গে জুটি তৈরি করতে পেরে।’’ জীতেশ আরও বলেছেন, ‘‘আমার একটু চাপ লাগছিল প্রথম দিকে। কিন্তু তুমি বেশ স্বাভাবিক ছিলে। তোমার জন্যই আমি স্বাভাবিক ভাবে খেলতে পেরেছি। তাই তোমার একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। উইকেটে থেকে জুটি তৈরির পরামর্শও তো তুমিই দিয়েছ।’’
নিজের কথা শেষ করেই রিঙ্কুকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন জীতেশ। জানতে চান, রিঙ্কু কী ভাবে চাপের মুখেও এত ঠান্ডা থাকতে পারেন। কেকেআর ব্যাটার বলেন, ‘‘পাঁচ-ছ’বছর আইপিএল খেলছি। সেখান থেকেই ঠান্ডা মাথায় খেলতে শিখেছি।’’
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ আগামী রবিবার। বেঙ্গালুরুর ম্যাচ অবশ্য নিয়মরক্ষার। কারণ পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল।