রিচা ঘোষ। ফাইল ছবি
জাতীয় দলে সাম্প্রতিক কালে দাপটের সঙ্গে খেলছেন। এ বার একেবারে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেলেন বাংলার মহিলা ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। আগামী ৬ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছে ভারত। সব ঠিকঠাক থাকলে ভারতের হয়ে উইকেটের পিছনে দেখা যেতে পারে রিচাকে। শুধু বিশ্বকাপেই নয়, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলবে রিচা।
স্বাভাবিক ভাবেই পরিবারে বইছে খুশির স্রোত। খবর পাওয়ার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তাঁরা। কিন্তু এ সব থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই চাইছেন রিচা। আপাতত তাঁর মনঃসংযোগ পুরোপুরি বিশ্বকাপে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে চাননি। শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনকে তাঁর বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বললেন, “বিশ্বকাপ সব থেকে বড় মঞ্চ। সেখানে সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বিশ্বকাপে ভাল পারফর্ম করে পরিবার এবং গোটা দেশকে গর্বিত করার জন্য মুখিয়ে রিচা।”
২০১৭-য় এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০২০-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দু’বারই ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছে ভারতের মহিলা দলকে। তাই এ বার ভারতীয় দল এবং মেয়ের হাতে কাপ দেখতে চান মানবেন্দ্র। বললেন, “গত দু’বার খুব কাছে এসেও জিততে পারেনি ভারত। এ বার যেন সেই ভুল না হয়। মেয়ের হাতে কাপ দেখতে চাই। সেই সঙ্গে গোটা ভারতীয় দলকেও হাসিমুখে দেখতে চাই।”
জাতীয় দলের হয়ে সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলেছেন রিচা। এরপর মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগে হোবার্ট হারিকেন্সের হয়েও খেলেছেন। কিন্তু সেখানে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স সে ভাবে নেই। বিশ্বকাপে তাই ভাল ফল করতে মুখিয়ে তিনি। মানবেন্দ্র বললেন, “বাড়িতে ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না। যখন হয়, তখন ওকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। কারণ আমরা জানি ও কতটা কঠোর পরিশ্রম করে। তাই সাফল্য ধরা দেবেই।”
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন ঝুলন গোস্বামীও, যাঁর থেকে প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু শিখতে থাকেন রিচা। শুধু তাই নয়, মিতালি রাজ, হরমনপ্রীত কৌরের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকেও প্রতি মুহূর্তে পরামর্শ নেন। বিশ্বকাপে সেগুলোই কাজে লাগানোর জন্য চেষ্টা করবেন তিনি।
তবে আনন্দের মধ্যেও একটা কাঁটা খচখচ করছে। কী ভাবে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হবেন, সেটাই আপাতত ভাবাচ্ছে রিচাকে। গত বছর লকডাউনের সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছিলেন রিচা। কিন্তু এ বার করোনার প্রকোপ ফের বাড়তে থাকায় কী ভাবে অনুশীলন করবেন, সেটা নিয়েই চিন্তায়। এখনও পর্যন্ত বোর্ডের তরফে কোনও শিবির আয়োজনের কথা বলা হয়নি। করোনার কারণে কলকাতাতে এসেও অনুশীলনের সুযোগ নেই। যদিও গত মাসে কোচ রমেশ পওয়ারের অধীনে দেহরাদূনে বিশেষ শিবির হয়েছিল।