উইকেট নিয়ে রোহিতদের (ডান দিকে) সঙ্গে উচ্ছ্বাস অশ্বিনের। ছবি: টুইটার
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম একাদশে তাঁকে রাখেননি রোহিত শর্মারা। সমালোচনা হয়েছিল সেই সিদ্ধান্তের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে ফেরানো হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত কতটা ভুল ছিল। ফাইনালে বাদ পড়া নিয়ে হতাশা থাকলেও অশ্বিন জানিয়েছেন, সাজঘরে গিয়ে কান্নাকাটি করা বা প্রকাশ্যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার মতো মানুষ তিনি নন। ভারতের অফস্পিনার ঘুরিয়ে খোঁচা দিয়েছেন পৃথ্বী শ, সরফরাজ খান এবং হনুমা বিহারির মতো ক্রিকেটারকে, যাঁরা দল থেকে বাদ পড়ে বা সুযোগ না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে হতাশা উগরে দিয়েছেন।
বুধবার প্রথম দিনের খেলার পর কিছুটা দার্শনিকের মেজাজে পাওয়া গিয়েছে অশ্বিনকে। তিনি বলেছেন, “পৃথিবীতে এমন কোনও ক্রিকেটার নেই যাদের জীবনে উত্থান-পতন আসেনি। পতনের সময়ে মানুষের কাছে দুটো বিকল্প থাকে। হয় আপনি সেটা নিয়ে কথা বলতে থাকুন, অভিযোগ করুন এবং তা নিয়ে যা আলোচনা হবে সেটা সহ্য করুন। অথবা কিছু না কিছু শিখুন। আমি এমন একজন মানুষ যে কঠিন সময়ে কিছু না কিছু শিখতে চায়।”
বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে সুযোগ না পেয়ে তিনি যে হতাশ হয়েছিলেন সেটা উঠে এসেছে অশ্বিনের কথায়। বলেছেন, “আগেও ওই ম্যাচ নিয়ে বলেছি। বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে বসে থাকা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই কষ্টের। কিন্তু বাদ পড়ে যদি সাজঘরে ঝগড়াঝাটি করি, তা হলে আমার সঙ্গে বাকিদের পার্থক্য কোথায় থাকল। ফাইনালে খেলার জন্যে প্রস্তুত ছিলাম। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম। পরিকল্পনাও ছকে রেখে ছিলাম। তবে এটাও মনে হয়েছিল আমি না-ও খেলতে পারি।”
ভারতীয় স্পিনার যোগ করেছেন, “বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল জেতা আমাদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা সাফল্য হতে পারত সেটা এবং খেলতে পারলে সেখানে আমার অবদানও থাকত। দুর্ভাগ্যবশত যা ভেবেছিলাম তা হয়নি। প্রথম দিনেই আমরা বিপক্ষের থেকে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিলাম।”
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে এখন অবশ্য সব ভুলে যেতে চাইছেন অশ্বিন। বুধবার নবম ওভারে প্রথম বল করতে এসেছিলেন। টানা দশ ওভার বল করেন। প্রথম থেকেই বিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে রাখতে শুরু করেছিলেন। দিনের শেষে পাঁচটা উইকেট তারই প্রমাণ। কী ভাবে সাফল্য পেলেন তা জানাতে গিয়ে অশ্বিন বলেছেন, “উইকেটে কিছুটা বাউন্স ছিল। পিচের কিছু কিছু অংশে বল ফেলায় বাউন্স পেয়েছি। প্রথম সেশনটা আমরা দারুণ কাজে লাগিয়েছি। পিচে আর্দ্রতা ছিল। সেটাও কাজে লেগেছে। কিন্তু ঘূর্ণি খুব বেশি ছিল না। যত টুকু সাহায্য ছিল ততটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি।”