অর্শদীপ সিংহ।
এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে আসিফ আলির ক্যাচ ফস্কানোর জন্য অর্শদীপ সিংহকে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। গণমাধ্যমে তাঁকে লক্ষ্য করে আক্রমণও করা হয়। এমনকি তাঁর উইকিপেজও বিকৃত করা হয়েছিল। যে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় তরুণ পেসারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সতীর্থরা। বিরাট কোহলি বলেছিলেন, এমন চাপের ম্যাচে যে কোনও ক্রিকেটারই এ ভাবে ক্যাচ হাতছাড়া করতে পারেন। এ বার আর অশ্বিন এবং রবি বিষ্ণোইও পাশে দাঁড়ালেন অর্শদীপের।
বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দলে থাকা অশ্বিন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘অর্শদীপ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটাকে খুব কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। ক্যাচ ধরতে না পারার পরেও শেষ ওভারটা ও দারুণ করেছে। কী দুরন্ত ভাবেই না ফিরে এসেছিল। শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই নয়, শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও তাই হয়েছিল। এ জন্য ওর প্রশংসা প্রাপ্য।’’ অশ্বিন আরও যোগ করেছেন, ‘‘অর্শদীপকে অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে খেলার সময় থেকে দেখছি। পঞ্জাব কিংসে আমি ওর সঙ্গে খেলেছি। খুব পরিশ্রমী। মানুষ হিসেবে দারুণ। আমি নিশ্চিত এই তরুণ ক্রিকেটার অনেক দূর এগোবে। এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।’’ পাশাপাশি অর্শদীপের উপরে গণমাধ্যমে হওয়া আক্রমণ নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘যদি আমরা অর্শদীপের জায়গায় থাকতাম আর এ রকম একটা ক্যাচ ফেলতাম, তা হলে কী আশা করতাম? আশা করতাম সহানুভূতি। ‘হতেই পারে। দারুণ চেষ্টা করেছ। পরের ক্যাচটা ধরো।’ এই রকম কথাই আশা করতাম, তাই না?’’ অশ্বিন মনে করেন, অর্শদীপ যদি গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে যা বলা হয়েছে তা পড়েন, দীর্ঘদিন তাঁর মনের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ‘‘কাউকে এ ভাবে আক্রমণ করা একেবারেই ঠিক নয়। ভেবে দেখুন ওকে উদ্দেশ্য করে যা লেখা হয়েছে সেগুলো যদি ও পড়ে, তা হলে ওর মতো তরুণ ক্রিকেটারের উপরে আর ওর পরিবারের উপরে কী প্রভাব পড়বে?’’
অর্শদীপের আর এক সতীর্থ বিষ্ণোই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘পাজি আমার খুব ভাল বন্ধু। আমরা সবাই জানি ক্যাচ ফস্কে যেতেই পারে। সেটা খেলার অঙ্গ। সেরা ফিল্ডারের সঙ্গেও এটা হতে পারে। এ রকমও হতে পারত ও বোলিং করল আর আমি ওর জায়গায় ক্যাচটা ফস্কালাম।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘অর্শদীপ খুব সাহসী। ওই ঘটনার পরে আমরা সবাই দেখেছি, কী ভাবে ও ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষের দিকে বোলিং করেছে। এতটাই মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী ও।’’