Ravichandran Ashwin

Ravichadran Ashwin: উত্তেজনা আর নেই, এক দিনের ক্রিকেট থাকলেই টিভি বন্ধ করে দেন অশ্বিন

অশ্বিনের মতে, এক দিনের ক্রিকেট তার আগের উত্তেজনা হারিয়েছে। খেলা দেখলে পুরনো মজা আর তিনি পাচ্ছেন না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ১২:৫৪
Share:

এক দিনের ক্রিকেট নিয়ে ক্ষোভ অশ্বিনের ফাইল ছবি

এক দিনের ক্রিকেটের সেই রোমাঞ্চ হারিয়ে গিয়েছে। এই ফরম্যাটের যে মাধুর্য্য, যে টানটান উত্তেজনা ছিল তা এখন আর নেই। এমনটাই মনে করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরোক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের রমরমাকেই দায়ী করেছেন তিনি। অশ্বিনের মতে, এক দিনের ক্রিকেট এখন টি-টোয়েন্টির বৃহত্তর সংস্করণ হয়ে গিয়েছে। তাই এক দিনের খেলা থাকলেই টিভি বন্ধ করে দেন তিনি।

Advertisement

এক পডকাস্টে অশ্বিন বলেছেন, “ক্রিকেট দেখতে আমি খুবই ভালবাসি। পাগলও বলতে পারেন। তবে এক দিনের ক্রিকেট দেখতে বসলে একটা সময়ের পর টিভির সুইচ বন্ধ করে দিই। আমার তো খেলাটা দেখলেই এখন বেশ ভয় লাগে। ম্যাচের মধ্যে সেই ওঠানামা ব্যাপারটা হারিয়ে গিয়েছে। আগের সেই উত্তেজনা এখন টের পাই না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বৃহত্তর সংস্করণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এক দিনের ক্রিকেট।”

তিনি আরও বলেছেন, “এক দিনের ক্রিকেটে না আছে সেই সৌন্দর্য, না আছে সেই উত্তেজনা। আগে ক্রিজে এসে ব্যাটাররা সময় নিত। ম্যাচটাকে আরও উত্তেজক জায়গায় নিয়ে যেতে চাইত। তার পর বল রিভার্স সুইং করা শুরু করত। এক সময় ব্যাটিং করা দলের ৬০ বলে ৬০ রান দরকার এবং হাতে সাত উইকেট থাকা সত্ত্বেও বোলিং করা দলকেই এগিয়ে রাখা হত। সে জিনিস আর নেই। এখন ওই রান চোখের পলকে উঠে যাবে।”

Advertisement

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজের দলে নেই অশ্বিন। তাঁর মতে, এক দিনের ক্রিকেটকে পুরনো দিনের মতো উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে গেলে আইন বদলাতে হবে। ২০১১ সাল থেকে এক দিনের ক্রিকেটে প্রতি ইনিংসে দু’টি করে নতুন বল ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি প্রান্ত থেকে একটি করে আলাদা বল ব্যবহার করা হয়। অশ্বিন এই আইনেরই বদল চাইছেন। তিনি চান, একটি ইনিংসে একটিই বল ব্যবহার করা হোক। এতে স্পিনারদের সুবিধা হবে। পাশাপাশি রিভার্স সুইংও পাওয়া যাবে।

যুক্তির স্বপক্ষে অশ্বিনের ব্যাখ্যা, “প্রতি ইনিংসে একটি করে বল ব্যবহার করলে সুবিধা হবে। স্পিনাররা নিজেদের দক্ষতা দেখাতে পারবে। ম্যাচের শেষের দিকে আরও বেশি স্পিনারকে বল করতে দেখতে পারবেন। খেলার মজা ফিরিয়ে আনতে এটা খুবই জরুরি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement