কোহলীকে নিয়ে বললেন শাস্ত্রী। ফাইল ছবি
এখনই টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়া উচিত হয়নি বিরাট কোহলীর। আরও অন্তত দু’বছর টেস্ট দলের অধিনায়ক থাকা উচিত ছিল তাঁর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিবার এমনই মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।
ভারতের টেস্ট দলকে ৬০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪০টিতে জিতেছেন কোহলী। পরিসংখ্যানের বিচারে তিনিই ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পরেই সেই ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে যান কোহলী।
সেই প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেছেন, “অবশ্যই আরও অন্তত দু’বছর টেস্ট দলের নেতা থাকতে পারত। কারণ, আগামী দু’বছরে ভারত বেশির ভাগ টেস্ট খেলবে ঘরের মাঠে। মূলত নীচের সারির দলের বিরুদ্ধে খেলা। ফলে অনায়াসে টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে ৫০-৬০টা ম্যাচ জিততে পারত।” এর পরেই কটাক্ষ করে শাস্ত্রী বলেছেন, “হয়তো অনেকেরই সেই ব্যাপারটা সহ্য হত না।”
কোহলীকে নিয়ে এখানেই থামেননি শাস্ত্রী। আরও বলেছেন, “দু’বছর নেতৃত্ব দিতে পারত এ কথা বললেও, এখন ওর সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান জানানো উচিত। অন্যান্য যে কোনও দেশে এ ধরনের রেকর্ড বিশ্বাসই করা যায় না। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওদের দেশে জিতেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ হারলেও তাতে একটুও কমেনি ওর গরিমা।”
শাস্ত্রী মনে করছেন, নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে এ বার সম্ভবত ক্রিকেট খেলাটাকে উপভোগ করতে চান কোহলী। বলেছেন, “গত পাঁচ-সাত বছর ধরে টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছে কোহলী। তার মধ্যে পাঁচ বছরই ভারত ক্রমতালিকায় শীর্ষ স্থানে ছিল। কোনও ভারতীয় অধিনায়কের এই রেকর্ড নেই। গোটা বিশ্বের দিকে তাকালেও খুব বেশি নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই যখন ভারতের সফলতম অধিনায়ক নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তই।”
উদাহরণ দিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “একমাত্র কোহলীই জানে ও কতটা অধিনায়কত্ব উপভোগ করেছে। যখন সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নেতৃত্ব ব্যাপারটা উপভোগ করছিল না, তখন ওরাও ছেড়ে দিয়েছিল। একই ভাবে বিরাটও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাত বছর নেতৃত্ব দিয়ে ৪০টি ম্যাচ জেতার পর এ বার ক্রিকেটকে উপভোগ করতে চায়। নিজের উপর থেকে চাপ হালকা করে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চায়। এর আগে আমরা দেখেছি সুনীল গাওস্কর, কপিল দেবও একই কাজ করেছিল।”