ক্ষোভ শাস্ত্রীর ফাইল ছবি
রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক কতটা খারাপ, সেটি ক্রমশ বোঝা যাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে শাস্ত্রী ভারতীয় দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে গিয়েছেন। তার পরেই তিনি মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় বোর্ডে অনেকেই আছেন, যাঁরা ২০১৭ সালে চাননি তিনি কোচ হন। তার আগে যখন তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল, সেই পদ্ধতিও খুশি করতে পারেনি শাস্ত্রীকে।
২০১৬ সালে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শাস্ত্রী। কারণ তার আগে শাস্ত্রী ভারতীয় দলের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি অনিল কুম্বলেকে কোচের দায়িত্ব দেন। শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমাকে বলা হয়েছিল ধারাভাষ্যের কাজ ছেড়ে দিতে। ছেড়ে দিয়েছিলাম। আরও অনেক কিছু ছেড়ে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাকে কোনও কিছু না বলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ জানতে পেরেছিলাম। কেউ আমাকে কিছুই বলেনি।’’
এর পরে তাঁর সংযোজন, ‘‘খুব খারাপ লেগেছিল তখন। আমাকে যদি পছন্দ না-ই হয়, সেটা বলতে পারত। যাই হোক, আবার ধারাভাষ্যের কাজ শুরু করেছিলাম। নয় মাস পরে যখন ফিরে এলাম, আমাকে বলা হয়, দলের ভিতর গোলমাল রয়েছে। শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যখন দলটাকে ছাড়তে হয়েছিল, তখন কোনও সমস্যা ছিল না। মাত্র ন’ মাসে সব বদলে গিয়েছিল! আরও অবাক হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, নয় মাস আগে যাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাকেই আবার দায়িত্ব দেওয়া হল।’’