সফল: বিশ্বকাপে বিষাক্ত সুইংয়ে বাজিমাত রবির। ছবি বিসিসিআই।
বিনু মাঁকড় ট্রফিতে বাংলার হয়ে যখন বল করছিলেন, তখনও ভাবেননি আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার উইকেটের মালিক হবেন তিনি। ভারতকে বিশ্বকাপ তুলে দেওয়ার অন্যতম কারিগর রবি কুমার এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। ভারতকে পঞ্চম বারের মতো এই খেতাব জেতানোর পরে রবির একটাই স্বপ্ন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও মিচেল স্টার্কের সঙ্গে দেখা করা। বিশ্বকাপ জিতেই তরুণ বাঁ-হাতি পেসার কোচকে কথা দিয়েছেন, সিনিয়র দলে দ্রুত জায়গা করে নেবেন।
বিশ্বকাপ জেতার পরেই ভারতীয় হাই কমিশনারের বাড়িতে নৈশভোজে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তারা যখন হোটেলে ফেরে, ভারতীয় সময় তখন ভোর সাড়ে সাতটা। তখনই ফোনে ধরা গেল রবিকে। স্বাভাবিক ভাবেই খুব ব্যস্ত। তবুও আনন্দবাজারকে ফোনে বলে দিলেন, ‘‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, আমরা কী করে ফেলেছি। বিশ্বকাপ জেতার পরে মনে হচ্ছে জীবনটা অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। ফেসবুকে পাঁচশোর উপরে বন্ধুত্বের আবেদন। ইনস্টাগ্রামেও অনুরোধ আসছে। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হচ্ছে।’’
অ্যান্টিগা থেকে আমদাবাদের পথে রওনা দেবেন যশ ধুলরা। সেখানেই সংবর্ধনা দেওয়া হবে বিশ্বকাপজয়ী দলকে। তার পরেও অবশ্য রবি কলকাতায় ফিরবেন না। তাঁর ইচ্ছে আলিগড়ে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে আসার। কিন্তু বাংলার রঞ্জি ট্রফি দলে নেওয়া হলে অভিমন্যু ঈশ্বরনদের সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে হবে তাঁকেও। সে সব নিয়ে যদিও এখনই ভাবছেন না রবি। স্বপ্ন দেখছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে দেখা করার। বলছিলেন, ‘‘বরাবরই স্টার্ক ও মাহি ভাইয়ের ভক্ত। এত দিন ওঁদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করতে পারিনি। কারণ ক্রিকেটার হিসেবে সে রকম কোনও প্রাপ্তিই ছিল না। বিশ্বকাপ জেতার পরে এটা বলার সাহস আমার মধ্যে তৈরি হয়েছে। দেখা যাক এই স্বপ্ন পূরণ হয় কি না।’’
ধোনির সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ আসতে পারে সামনেই। আসন্ন আইপিএলের নিলামে তাঁর জন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ঝাঁপালে অন্তত দলের সঙ্গে ডাগ-আউটে বসার সুযোগ পাবেন রবি। সেই দল যদি চেন্নাই সুপার কিংস হয়, তা হলে তো কথাই নেই। রবি যদিও অত দূর ভাবছেন না। বলছিলেন, ‘‘আইপিএল নিলাম নিয়ে ভাবতে চাই না। অতিরিক্ত আশা করার পরে যদি আমাকে কোনও দল না নেয়, অনেক বেশি কষ্ট হবে। আইপিএল নিয়ে এখনই ভাবতে চাই না।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে আমাদের কোচকে কথা দিয়েছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি আমাকে দেখতে পাবেন। কানিতকর স্যর মনে করেন, লাল বলের ক্রিকেটেও আমি সফল হতে পারি। আমার সুইংই নাকি সেই দরজা খুলে দিতে পারে। এ বারে গতি বাড়ানোর প্রস্তুতিও নেব।’’