—ফাইল চিত্র
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পথে শুধু করোনার বিরুদ্ধেই লড়াই নয়, সঙ্গে আরও কঠিন পরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল যশ ধুলদের।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছনোর পরেই সমস্যা শুরু হয় ভারতীয় দলের। সাত জন ক্রিকেটারকে বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকতে হয় কোভিড প্রতিষেধক টিকা না নেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত সরকারি হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়। তা-ও এই ঘটনা ঘটে দুবাই থেকে আমস্টারডাম হয়ে পোর্ট অব স্পেনের দীর্ঘ বিমানযাত্রার পরে।
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া বাঁ-হাতি পেসার রবি কুমার এবং ওপেনার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ছিলেন সেই তালিকার অন্যতম দুই সদস্য, যাঁদের বলা হয় টিকা না নেওয়ার জন্য দেশে ফিরে যেতে হবে। ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজার লবজাং জি তেনজিং তাঁদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন আইসিসি এবং ভারতীয় বোর্ডের সহায়তায়। তিনিই সেই অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। সমস্যার সমাধান করতে ভারত এবং ত্রিনিদাদের সরকারকেও এগিয়ে আসতে হয়।
সিকিম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান তেনজিং সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘আমরা পোর্ট অব স্পেনে পৌঁছনোর পরে গায়ানায় যেতে হত চার্টার্ড বিমানে। কিন্তু দলের সাত জন ক্রিকেটারকে আটকে দেওয়া হয়। যুক্তি ছিল, তাদের কোভিড-টিকা নেওয়া ছিল না। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি, এখনও ভারতে এই কমবয়সিদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কিন্তু বিমানবন্দরের কর্তারা বলে দেন, পরের বিমানেই দেশে ফিরে যাও।’’
এর পরে করোনা হানা দেখা দেয় ভারতীয় শিবিরে। সেই ধাক্কাও বহু কষ্টে সামলাতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এই সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই বিশ্বকাপ জেতে ভারতীয় দল।