দুই উইকেট নিয়েছেন অনুভব অগ্রবাল। —ফাইল চিত্র
রঞ্জির ফাইনালে মুখোমুখি মুম্বই এবং মধ্যপ্রদেশ। ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকেই সকলে এগিয়ে রেখেছিল এই ম্যাচে। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে পৃথ্বী শ-রা যে ভাবে শুরু করেছিলেন তাতে মুম্বই ব্যাটারদের দাপটই ছিল স্পষ্ট। দিনের শেষে যদিও অনুভব অগ্রবালরা কিছুটা ম্যাচে ফেরালেন মধ্যপ্রদেশকে। প্রথম দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ২৪৮/৫।
মুম্বই অধিনায়ক পৃথ্বী এবং তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সবাল ৮৭ রানের জুটি গড়েন। পৃথ্বী ফেরেন ৪৭ রানে। সেমিফাইনালে দুই ইনিংসে শতরান করা যশস্বী ফাইনালে প্রথম ইনিংসে করলেন ৭৮ রান। আরমান জাফর শুরুটা ভাল করলেও খুব বেশি রান করতে পারেননি। ২৬ রান করেন তিনি। অভিষেক ম্যাচে আড়াইশো রান করা সুভেদ পারকার মাত্র ১৮ রানে আউট। উইকেটরক্ষক হার্দিক তামোরে করেন ২৪ রান। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন সরফরাজ খান (৪০ রানে অপরাজিত) এবং শামস মুলানি (১২ রানে অপরাজিত)।
বাংলার বিরুদ্ধে যেমন স্পিনার কুমার কার্তিকেয়কে দিয়ে ইনিংস শুরু করিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও সেই পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিল মধ্যপ্রদেশ। কিন্তু এ বার শুরুতে সাফল্য আসেনি। কার্তিকেয় আঙুলে চোট নিয়েও ৩১ ওভার বল করলেন। একটি মাত্র উইকেট নিয়ে দিলেন ৯১ রান। অন্য স্পিনার সারাংশ জৈন ১৭ ওভার বল করে নেন দুই উইকেট। দুই উইকেট নেন পেসার অনুভব অগ্রবালও। তাঁদের দাপটেই ম্যাচে ফিরে আসে মধ্যপ্রদেশ। ২৪৮ রানের মধ্যে মুম্বইয়ের অর্ধেক ব্যাটার সাজঘরে। দ্বিতীয় দিন সকালে শুরুতেই আঘাত করতে চাইবেন কার্তিকেয়রা। দ্রুত মুম্বইয়ের ব্যাটারদের সাজঘরে পাঠিয়ে নিজেরা ব্যাট করতে চাইবেন মধ্যপ্রদেশ ব্যাটাররা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।