—প্রতীকী চিত্র
মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি খেললেও তাঁর জন্ম উত্তরপ্রদেশের সুরিয়া এলাকায়। দশ বছর বয়সে চলে আসেন মুম্বইয়ে। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখত ছোট ছেলেটি। ক্রিকেট শেখার সঙ্গেই চলত দোকানে কাজ করা। কিন্তু তাতে অনুশীলনের সময় কমে যেত। চলে গেল কাজ। ফুচকা বিক্রি করে দিন চালাতেন তিনি। সেই যশস্বী জয়সবালের দুই ইনিংসে শতরানই মুম্বইকে রঞ্জির ফাইনালে তুলে দিল। বিপক্ষে ছিল তাঁর জন্ম রাজ্য উত্তরপ্রদেশই।
মুম্বইয়ের নবম ব্যাটার হিসাবে দুই ইনিংসে শতরানের কীর্তি গড়ে উচ্ছ্বসিত যশস্বী। তিনি বলেন, “উইকেট দেখে মনে হয়েছিল যে পিচ মন্থর। পৃথ্বী শ আউট হলে আরমান জাফরের সঙ্গে আলোচনা করি পিচ নিয়ে। নিজেকে সময় দিতে চাইছিলাম।”
দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করলেও প্রথম ৫৪টি বলে কোনও রান করতে পারেননি যশস্বী। তিনি বলেন, “যতটা বেশি সময় সম্ভব ক্রিজে টিকে থাকতে চাইছিলাম আমি। এটাই আমার পরিকল্পনা ছিল। আমি জানি অনেকগুলো বল খেলেছি প্রথম রান করতে, কিন্তু এক বার রান পাওয়ার পর আর থামিনি।”
আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা যশস্বীই মুম্বইকে ফের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রঞ্জি জয়ের। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক পৃথ্বী শ শূন্য করলেও শতরান করেন যশস্বী। এর পর উত্তরপ্রদেশকে ১৮০ রানে অল আউট করে দেয় মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ফের শতরান যশস্বীর। ১৮১ রান করেন তিনি। তাঁর বিরাট শতরানে ভর করে পঞ্চম দিনেও ব্যাট করে মুম্বই। উত্তরপ্রদেশ আর দ্বিতীয় ইনিংস খেলার সুযোগই পায়নি। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে রঞ্জি ফাইনালে উঠে যায় মুম্বই।
মুম্বইয়ের নবম ব্যাটার হিসাবে দুই ইনিংসে শতরানের কীর্তির কথা জেনে যশস্বী আপ্লুত। সচিন তেন্ডুলকর, ওয়াসিম জাফর, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রহাণেদের সঙ্গে এক আসনে তাঁর নাম। যশস্বী বলেন, “এই রেকর্ডের কথা আমি জানতাম না। সাজঘরে ফেরার পর সতীর্থরা আমাকে বলে এই কীর্তির কথা। আমার নাম সচিন, জাফর, রোহিত, রহাণের মতো তারকাদের সঙ্গে। আমি গর্বিত।”
বুধবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনাল খেলতে নামবে মুম্বই। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।