রঞ্জির এলিট গ্রুপ বি-তে রয়েছে বাংলা। সেই গ্রুপে বরোদা ছাড়াও রয়েছে হায়দরাবাদ এবং চণ্ডীগড়। বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। গ্রুপের শেষ ম্যাচ চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। আইপিএল-এর আগে রঞ্জিতে সেটাই গ্রুপের শেষ ম্যাচ। ৩ মার্চ থেকে শুরু সেই ম্যাচ।
কটকে অনুশীলনে মনোজ। ছবি: সিএবি
বরোদার বিরুদ্ধে এ বারের রঞ্জির প্রথম ম্যাচ খেলতে নামতে চলেছে বাংলার। সেই ম্যাচে বাংলার হয়ে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামতে পারেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলার মন্ত্রীকে যে ব্যাট হাতে রঞ্জির মঞ্চে দেখা যেতে চলেছে তা এক প্রকার নিশ্চিত। বুধবারও অনুশীলন করে বাংলার দল। সেখানে ফুটবল নিয়েও অনুশীলন করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়রা।
সূত্রের খবর, মনোজ পাঁচে নামলে, চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ক্রুণাল পাণ্ড্যদের বরোদার বিরুদ্ধে পাঁচ বোলার নিয়ে নামতে পারে বাংলা। সেই ক্ষেত্রে কটকের পিচে তিন পেসার এবং দুই স্পিনার নিয়ে নামার ভাবনা রয়েছে। তিন পেসার নিয়ে নামলেও লাল বলের ক্রিকেটে এখনই রবি কুমারকে দেখা যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়। বাংলা দলে পেসার হিসাবে ঈশান পোড়েল, নীলকণ্ঠ দাস, মুকেশ কুমাররা রয়েছেন। শাহবাজ আহমেদের মতো স্পিনার রয়েছেন দলে।
বাংলা দলে নেই ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি এ বারের রঞ্জি খেলতে চাননি। দলে নেই শ্রীবৎস গোস্বামীও। উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে রয়েছেন সাকির হাবিব গাঁধী এবং অভিষেক পোড়েল। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের রিজার্ভ দলে ছিলেন অভিষেক। বরোদার বিরুদ্ধে কাকে দেখা যাবে সেই নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
কটকে অনুশীলনে বাংলা দল। ছবি: সিএবি
প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে বাংলার কোচ অরুণ লাল বলেন, ‘‘বেশ ভাল লাগছে এই দলটাকে। খুব ভাল অনুশীলন হয়েছে। সবাই খুব পরিশ্রম করছে। দলে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেল রয়েছে। রবি কুমারকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তবে অভিষেকের জন্য কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে ওকে। পিচে বোলারদের সাহায্য করবে বলে মনে হচ্ছে। তাই টস জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
রঞ্জির এলিট গ্রুপ বি-তে রয়েছে বাংলা। সেই গ্রুপে বরোদা ছাড়াও রয়েছে হায়দরাবাদ এবং চণ্ডীগড়। বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। গ্রুপের শেষ ম্যাচ চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। আইপিএল-এর আগে রঞ্জিতে সেটাই গ্রুপের শেষ ম্যাচ। ৩ মার্চ থেকে শুরু সেই ম্যাচ।
১৩ জানুয়ারি থেকে রঞ্জি শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় করোনার প্রভাব বেশি থাকায় রঞ্জি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। এই মরসুমে দুই ভাগে হবে রঞ্জি। আইপিএল-এর আগে গ্রুপ পর্বের খেলা হবে। জুন মাসে হবে নক আউট ম্যাচ। একাধিক ক্রিকেটার দুই ধরনের প্রতিযোগিতাতেই খেলবেন। এক বার লাল বল আবার সাদা বল, ফের লাল বলে খেলতে অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছেন ক্রিকেটাররা। বাংলার বোলার ঈশান বলেন, ‘‘এটা ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতেই হবে। সারা বছর ক্রিকেট খেলতে হয়। সেখানে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।’’