কটক থেকে মনোজ নিজেও জানিয়েছেন তিনি সাহায্য করতে পেরে খুশি। মনোজ বললেন, “আমার রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন রয়েছে, সেই স্বপ্ন দেখা ছাড়ছি না। যতটা পারছি অধিনায়ককে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। কী করলে ভাল হবে সেটা বলছি। অভিমন্যু আমার কথা শোনে। যখন কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করে, চেষ্টা করি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করার। ভাল লাগে যখন দেখি আমার উপদেশ নিয়ে কোনও কিছু করেছে এবং দলের ভাল হয়েছে।”
চোখে রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন। —ফাইল চিত্র
গ্রুপ শীর্ষে থেকে নক আউটে বাংলা। রঞ্জি জিততে হলে পরের সব ম্যাচই জিততে হবে। আইপিএল-এর পর সেই নকআউট পর্বে জিততে হবে আর তিনটি ম্যাচ। সেটাই লক্ষ্য মনোজ তিওয়ারির। রঞ্জি শুরুর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলার জার্সিতে রঞ্জি জেতার ইচ্ছার কথা। সেই স্বপ্ন সত্যি করতে দলকে সব রকম ভাবে সাহায্যে করে চলেছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক।
বহু যুদ্ধের সৈনিক মনোজ। ১৮ বছর ধরে বাংলা দলকে সাহায্য করে চলেছেন তিনি। বাংলার বর্তমান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “মনোজদা বাংলার হয়ে অনেক দিন ধরে খেলছে। ভারতের হয়েও খেলেছে। ওর অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করে। যখনই কোনও সমস্যায় পড়েছি ওর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কী করব বুঝতে না পারলে জিজ্ঞেস করেছি। মনোজদা, রুকুদা (অনুষ্টুপ মজুমদার) দলে থাকায় আমারই লাভ হয়েছে। আমাকে ওরা খুব সাহায্য করেছে।”
কটক থেকে মনোজ নিজেও জানিয়েছেন তিনি সাহায্য করতে পেরে খুশি। মনোজ বললেন, “আমার রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন রয়েছে, সেই স্বপ্ন দেখা ছাড়ছি না। যতটা পারছি অধিনায়ককে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। কী করলে ভাল হবে সেটা বলছি। অভিমন্যু আমার কথা শোনে। যখন কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করে, চেষ্টা করি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করার। ভাল লাগে যখন দেখি আমার উপদেশ নিয়ে কোনও কিছু করেছে এবং দলের ভাল হয়েছে।”
মনোজ এবং অভিমন্যু। —ফাইল চিত্র
এত দিন ধরে ক্রিকেট খেলছেন মনোজ, তবু ফোনে কথা বলার সময় উচ্ছ্বাস স্পষ্ট। বাংলাকে সাহায্য করতে পেরে এখনও আনন্দ পান তিনি। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বললেন, “দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদের একটা সময় উইকেটই পড়ছিল না। সেই সময় আমি নিজেই বোলিং চেয়ে নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ওভারে ওদের সেট ব্যাটারটাকে ফিরিয়ে দিতেও পেরেছিলাম।” দলকে সাহায্য করতে পেরেছেন, এটাতেই আনন্দ মনোজের।
আইপিএল-এর পর শুরু নক আউট পর্ব। সেখানে বাংলা দল গ্রুপ পর্বের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারবে বলেই মনে করছেন মনোজ। তাঁর মুখে আলাদা করে শোনা গেল তরুণ অভিষেক পোড়েল এবং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদের কথাও। এ বারের রঞ্জিতে জয়ের পিছনে তাঁদের কৃতিত্বও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক।