শাহবাজ আহমেদ। —ফাইল ছবি
হায়দরাবাদের সামনে জয়ের জন্য ২৩৯ রানের লক্ষ্য রাখল বাংলা। কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ২০১ রানে। জবাবে ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬ রান।
রবিবার শেষ দিন বাংলার জয়ের জন্য দরকার ৭ উইকেট। অন্য দিকে হায়দরাবাদের প্রয়োজন ২২৩ রান। অর্থাৎ তৃতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাই। বাংলার আরও সুবিধা হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে হবে চতুর্থ দিনের উইকেটে। অভিমন্যু ঈশ্বরণদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে বোলারদের ছন্দ। শনিবার শেষ বেলায় হায়দরাবাদের ওপেনিং ব্যাটার তথা অধিনায়ক তন্ময় অগ্রবালকে প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুকেশ কুমার। বাংলার বোলাররা দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন অক্ষত রেড্ডি (০) এবং মিকিল জায়সবাল (৫)-কেও। তাঁদের উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে আকাশ দীপ এবং ঈশান পোড়েল। ১১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিলক বর্মা।
এদিন ভাল শুরু করেও বড় রানের ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হলেন বাংলার ব্যাটাররা। বড় জুটিও তেমন হল না। আগের দিন অপরাজিত থাকা অভিমন্যু ৪৫ বলে ২৪ রান করে আউট হন। অপরাজিত থাকা আর এক ব্যাটার ঋত্বিক রায় চৌধুরী করেন ১২৭ বলে ৪১ রান। সায়ন শেখর মণ্ডল করলেন ৫৭ বলে ১৭। অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি ভাল শুরু করেও রান আউট হলেন ১০ রানে। এ সময় মাত্র ৮১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা। সেখান থেকে বাংলাকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার এবং শাহবাজ আহমেদ। অনুস্টুপের ব্যাট থেকে এল ৪২ রানের ইনিংস। সাত নম্বরে নামা শাহবাজ ৮৭ বলে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন। তাঁদের ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ওঠে ৬৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে রান পেলেন না তরুণ উইকেট রক্ষক অভিষেক পোড়েল (০)।
বাংলার শেষ চার ব্যাটারের সম্মিলিত অবদান মাত্র পাঁচ রান। তার মধ্যে তিন রানে অপরাজিত থাকেন ঈশান পোড়েল। ৫ উইকেটে ১৮৩ থেকে ২০১ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস। মাত্র ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলার ব্যাটিংয়ের লেজ ভাঙলেন তিলক বর্মা। তাঁর আগে বাংলার মিডল অর্ডার ভাঙেন তনয় থিয়াগারঞ্জন। তিনি ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।