ছবি: সিএবি
বেঙ্গালুরুর মাঠে সবুজ পিচ। টস জিতলে বোলিং নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলার। সোমবার রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে টস জেতে ঝাড়খণ্ড। জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠায় তারা। তাতে লাভই হয় বাংলার। প্রথম দিনেই অভিমন্যু ঈশ্বরনরা তুলে নেন ৩১০ রান।
বাংলার হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন অধিনায়ক অভিমন্যু এবং অভিষেক রামন। শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেন তাঁরা। অভিষেকের পিঠে চোট লাগায় ৪১ রানের মাথায় মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে সেই চোট খুব বড় নয় বলেই জানিয়েছেন বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী। ফের ব্যাট করতে পারেন তিনি।
সোমবার অভিষেক চোট পাওয়ার পরে মাঠে নামেন সুদীপ ঘরামি। ২৩ বছরের সুদীপ এর আগে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলার হয়ে। সেই তরুণ ব্যাটার রঞ্জিতে প্রথম শতরান করলেন। দিনের শেষে অপরাজিত রইলেন ১০৬ রানে। সোমবারের আগে তাঁর মোট রান ছিল ১০১। কোনও অর্ধশতরান ছিল না তাঁর। সেই সুদীপই ১৭৭ বলে শতরান করে বাংলাকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দিলেন। একটি ছয় এবং ১৩টি চার মেরেছেন তিনি।
শতরানের দিকে এগোচ্ছেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। ৮৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। সুদীপ এবং অনুষ্টুপ ইতিমধ্যেই ১৭৮ রানের জুটি গড়েছেন। অনুষ্টুপ ১১টি চার মেরেছেন।
ঝাড়খণ্ডের বোলার রাহুল শুক্ল চোট পেয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার বল করতে পারবেন কি না স্পষ্ট নয়। সারা দিনে বাংলার একটি মাত্র উইকেট নিয়েছে ঝাড়খণ্ড। সেই উইকেটটি নেন সুশান্ত মিশ্র।
প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলে ঝাড়খণ্ডকে চাপে ফেলাই এখন মূল লক্ষ্য বাংলার। তিন পেসার নিয়ে নেমেছে বাংলা। ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার এবং আকাশ দীপ রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসাবে খেলছেন অলরাউন্ডার সায়ন শেখর মণ্ডল। স্পিনার শাহবাজ আহমেদও রয়েছেন। এখনও ব্যাট করতে নামেননি মনোজ তিওয়ারি এবং তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।