মনোজদের দাপট। —ফাইল চিত্র
রঞ্জিতে রেকর্ড গড়ল বাংলা। ভেঙে গেল ১২৯ বছরের পুরনো রেকর্ড। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম ন’ব্যাটারই অর্ধশতরান বা তার বেশি রান করলেন। সায়ন শেখর মণ্ডল তৃতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের পর প্রথম বলেই অর্ধশতরান করেন। সেই সঙ্গে বাংলার প্রথম আট ব্যাটারের অর্ধশতরান হয়। রেকর্ড ছোঁয় বাংলা। আকাশ দীপ অর্ধশতরান করায় নতুন করে রেকর্ড গড়েন মনোজ তিওয়ারিরা।
১৮৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি দলের আট ব্যাটার ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত দলের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান বা তার বেশি করেছিলেন। কিন্তু সেই দলের পর পর আট ব্যাটার অর্ধশতরান করতে পারেননি। সায়ন অর্ধশতরান করার সঙ্গে সঙ্গেই ১২৯ বছরের সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলে বাংলা। বাংলার পর পর আট ব্যাটারই অর্ধশতরান বা তার বেশি রান করেন। আকাশের অর্ধশতরানের পর নতুন রেকর্ড এখন বাংলার দখলে।
বাংলার দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং অভিষেক রামন অর্ধশতরান করেন। অভিমন্যু করেন ৬৫ রান। অভিষেক করেন ৬১ রান। তিন নম্বরে নামা সুদীপ ঘরামি করেন ১৮৬ রান। চার নম্বরে নেমেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনিও শতরান করেন। অনুষ্টুপ শেষ করেন ১১৭ রানে। পাঁচ নম্বরে নেমে মনোজ তিওয়ারি করেন ৭৩ রান। তরুণ উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল করেন ৬৮ রান। শাহবাজ আহমেদ ৭৮ রান করেন।
সাত ব্যাটার আউট হলেও ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন সায়ন এবং আকাশ। দু’জনেই ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৮ বলে ৫৩ রান করেন আকাশ। তিনি আটটি ছক্কা মারেন। বাংলা সাত উইকেট হারিয়ে ৭৭৩ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে।
ঝাড়খণ্ডের বোলাররা কোনও চাপই তৈরি করতে পারেননি সুদীপদের উপর। ঝাড়খণ্ডের বোলারদের উপর বাংলার রাজত্ব চলল আড়াই দিন ধরে। এ বার বল হাতে দ্রুত ঝাড়খণ্ডকে ফেরানোর পালা বাংলার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।