মধ্যপ্রদেশের স্পিনারদের কৃতিত্ব দিলেন অরুণ লাল। —ফাইল চিত্র
আরও এক বার রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ। গত বার ফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাংলা। এই মরসুমে সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হার ১৭৪ রানে। এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, ক্রিকেট জীবনে বাংলার হয়ে রঞ্জি জেতা অরুণ লালকে কি পরের মরসুমেও দেখা যাবে বাংলার কোচ হিসেবে? উত্তর জানা নেই স্বয়ং অরুণ লালের। আনন্দবাজার অনলাইনকে শুধু জানালেন, তিনি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে রাজি নন।
এ বারের মতো ক্রিকেট মরসুম শেষ বাংলার। অরুণ লাল বললেন, “কোচ থাকব কি না, এত তাড়াতাড়ি সেটা বলা যাবে না। সিএবি-র সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওরা যদি চায়, ভেবে দেখব। আমার পক্ষে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। আমি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে যাব না।”
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা বাংলা শিবির শনিবার হারের পর চুপ করে গিয়েছে। শনিবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দেড় সেশনেই শেষ হয়ে গিয়েছে বাংলা। একের পর এক ব্যাটার এসেছেন এবং ফিরে গিয়েছেন। বাংলার কোচ অরুণ লাল বললেন, “টস হারাটাই কাল হল। এই পিচে শেষ ইনিংসে ব্যাট করা খুব কঠিন। ওদের বোলাররা ভাল বল করেছে। আমাদের থেকে মধ্যপ্রদেশ ভাল খেলেছে, তাই জিতেছে।” শুক্রবার দিনের শেষে বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন বলেছিলেন, “জিততে হলে আমাদের লম্বা জুটি গড়তে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে।” সেটাই পারলেন না বাংলার ব্যাটাররা।
হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বাংলার কোচ ব্যাটিংয়েই গলদ দেখতে পাচ্ছেন। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ন’জন ব্যাটার অর্ধশতরান করলেও বাংলার ব্যাটিং নিয়ে যে চিন্তা রয়ে গিয়েছে তা মানছেন অরুণ লাল। তিনি বললেন, “প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশ রানের (৫৪) মধ্যে পাঁচ উইকেট চলে যায়। ওখানেই মুশকিল হয়ে গেল। মনোজ (তিওয়ারি) এবং শাহবাজ (আহমেদ) শতরান করেছিল, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। ব্যাটিং কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।”
মধ্যপ্রদেশের স্পিনারদের প্রশংসা করলেন অরুণ লাল। তিনি বললেন, “ওদের স্পিনাররা আমাদের থেকে অনেক বেশি ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ওরা ভাল বল করেছে। আমরা সেটা করতে পারিনি।” দলে দুই বাঁহাতি স্পিনার নেওয়া ভুল ছিল না বলেই মনে করছেন বাংলার কোচ। তিনি বললেন, “আমার হাতে যদি ভাল ডানহাতি স্পিনার থাকত তা হলে খেলাতাম। দলে থাকা সেরা বোলারকেই নামাতে হবে। যে উইকেট নিতে পারবে তেমন বোলার দরকার। আমার মনে হয় এই পিচে দু’জন বাঁহাতি স্পিনার খেলানোই ঠিক ছিল।”
রবিবারই কলকাতা ফিরে আসছে বাংলা দল। তবে গোটা দল একসঙ্গে ফিরছে না। দুপুর এবং বিকেলে ভাগ ভাগ করে ফিরবে দল। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর থেকে পরের মরসুম শুরু হওয়ার আগে বিশ্রাম চাইছেন কোচ অরুণ লাল। যদি পরের মরসুমে তিনি কোচ থাকেন তা হলে সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করবেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।