শতরান করলেন সুদীপ ঘরামি। ছবি: সিএবি
প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার হয়ে শতরান করলেন সুদীপ ঘরামি। তাঁর সঙ্গে অর্ধশতরান করলেন মনোজ তিওয়ারি। তাঁরাই হিমাচলের সামনে ৪৭২ রানের লক্ষ্য রাখেন। সেই রান করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ৭৯ রানে একটি উইকেট হারাল হিমাচল। রাঘব ধাওয়ানকে রান আউট করেন সায়ন শেখর মণ্ডল। জিততে হলে শেষ দিনে হিমাচলের প্রয়োজন ৩৯৩ রান এবং বাংলার প্রয়োজন ৯টি উইকেট।
বাংলার প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের অবস্থা ছিল শোচনীয়। অনুষ্টুপ ছাড়া প্রথম দিকের কোনও ব্যাটারই রান পাননি। সেখানে অনুষ্টুপ করেন ১৫৯ রান। শাহবাজ় আহমেদ ৭ নম্বরে নেমে করেন ৪৯ রান। বল হাতে সেই শাহবাজ়ই তুলে নেন ৫ উইকেট। তাঁর ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি হিমাচল। ২টি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল এবং আকাশ দীপ। একটি উইকেট নেন সায়ন। হিমাচল শেষ হয়ে যায় ১৩০ রানে। আবার ব্যাট করতে নামে বাংলা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। বৈভব আরোরার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান অভিষেক দাস। ঋষি ধাওয়ান তুলে নেন অন্য ওপেনার কৌশিক ঘোষকে। প্রথম ইনিংসে শতরান করা অনুষ্টুপ দ্বিতীয় ইনিংসে করে মাত্র ৩৮ রান। সেখান থেকে মনোজ এবং সুদীপ ১০৪ রানের জুটি গড়েন। মনোজ ৫০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও ক্রিজে ছিলেন সুদীপ। তিনি ১০১ রান করেন। শতরান করে সুদীপ বলেন, “দলের জন্য কিছু করতে পেরে ভাল লাগছে। দল চেয়েছিল আক্রমণাত্মক ভাবে খেলতে। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে কথা বলি। ওরা আমাকে নিজের মতো খেলার স্বাধীনতা দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে রান না পাওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল খেলতে চেয়েছিলাম। আমাদের জন্য শুক্রবারের সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত উইকেট তুলে চাপ বাড়াতে হবে।” চা বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করে বাংলা। শাহবাজ় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অভিষেক পোড়েল অপরাজিত থাকেন ১১ রান করে। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তোলে।
শেষ সেশনে বাংলার বোলাররা ২৫ ওভার বল করলেও উইকেট তুলতে পারেননি। বাংলার ৫ বোলার কোনও উইকেট না পেলেও রান আউট হয়ে সাজঘরে রাঘব। শেষ দিনে বাকি ৯টি উইকেট তুলে হিমাচলের বিরুদ্ধে সরাসরি জিততে চাইবে বাংলা।