মনোজের বহু দিনের স্বপ্ন রঞ্জি জেতা। যা এখনও সত্যি হয়নি। —ফাইল চিত্র
ওড়িশার বিরুদ্ধে হারলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত ছিল বাংলার। নকআউটে বাংলা খেলবে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে। গত বছরও কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড। সেই ম্যাচে রেকর্ড গড়েছিলেন বাংলার ব্যাটাররা। ৯ জন ব্যাটার অর্ধশতরানের বেশি রান করেছিলেন। ইডেনে ৩১ জানুয়ারি সেই স্মৃতি নিয়েই মাঠে নামতে চাইবেন মনোজ তিওয়ারিরা।
কোয়ার্টার ফাইনাল ঘরের মাঠে হওয়ায় কিছুটা সুবিধা পাবে বাংলা। কিন্তু ওড়িশার বিরুদ্ধে গ্রুপ ম্যাচে যে ভাবে হারতে হল সেটা মোটেই সুখের নয়। পিচ ভিজে থাকার কারণে প্রথম দিন চার ঘণ্টা খেলাই হয়নি। কিন্তু বাংলার প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে যে ভাবে ধ্বস নামে, তা চিন্তার কারণ মনোজদের কাছে। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরন শতরান করে দলে মান বাঁচিয়েছিলেন। মনোজ অর্ধশতরান করেন। কিন্তু হার বাঁচানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ঘরের মাঠে হেরে যায় বাংলা। একাধিক ক্রিকেটারের চোটও বাংলার চিন্তার কারণ। সেই সঙ্গে গ্রুপ পর্বে ওপেনার নিয়ে সমস্যার কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। নকআউটে সেটাও চিন্তায় রাখবে অধিনায়ক মনোজকে।
বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বললেন, “ম্যাচ হারতে তো কখনও ভাল লাগে না, তবে এই ম্যাচে হেরে একটা ধাক্কা খেল দল। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে যেটা দলকে আরও ভাল ভাবে তৈরি হতে সাহায্য করবে।” চোটের কারণে এই ম্যাচে ব্যাট করতে পারেননি অনুষ্টুপ মজুমদার। সৌরাশিস বললেন, “কোয়ার্টার ফাইনালে রুকু (অনুষ্টুপের ডাকনাম) খেলবে। এই ম্যাচে খেলিয়ে আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। শাহবাজ় (আহমেদ) ফিরে আসবে। যদিও মুকেশকে (কুমার) পাওয়া যাবে না ও জাতীয় দলে থাকায়।”
ওপেনার নিয়ে বাংলার সমস্যা রয়েই গিয়েছে। অভিমন্যু ঈশ্বরনের সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছে না বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে দলে আসতে পারেন কাজী জুনেইদ। তরুণ ব্যাটার বাংলার অনূর্ধ্ব-২৫ দলে রান করেছেন। তাঁকে সিনিয়র দলে খেলাতে পারে বাংলা।
বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ। এ বারই তাঁর শেষ রঞ্জি। লাল বলের এই প্রতিযোগিতা শেষে অবসর নিতে পারেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই খেলছে বাংলা। নকআউটে পিচ নিয়ে কোনও সমস্যা চাইবে না তারা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনাল।
অন্য কোয়ার্টার ফাইনালগুলিতে মুখোমুখি পঞ্জাব এবং ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক এবং উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলা। সে বার তাদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হেরে যান মনোজরা।
রঞ্জি জিততে আর তিনটি ম্যাচ। মনোজের বহু দিনের স্বপ্ন রঞ্জি জেতা। যা এখনও সত্যি হয়নি। ওড়িশা ম্যাচের আগে বাংলা দল অপরাজিত ছিল। মনোজরা চাইবেন সেটাই যেন এ বারের প্রতিযোগিতায় শেষ হার হয়। বাকি ম্যাচগুলো জিতেই রঞ্জি ট্রফি তুলতে চাইবেন মনোজরা।