লক্ষ্মী-মনোজের চাপ বাড়ল। —ফাইল চিত্র
রঞ্জি ফাইনালের সকালে বাংলার সমর্থকদের মনে যে ভয়টা জয়দেব উনাদকটরা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তা দ্বিতীয় সেশনে কাটিয়ে দেন শাহবাজ় আহমেদরা। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরান বাংলার বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ভারতের হয়ে এখনও নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি শাহবাজ়, কিন্তু রঞ্জি ফাইনালে চাপের মুখে তাঁর ব্যাটিং নির্বাচকদের দরজায় কড়া নাড়তে বাধ্য। কিন্তু তিনি ফিরতেই ভেঙে পড়ে বাংলার ইনিংস। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ ১৭৪ রানে।
সকাল সকাল ইডেনে আসা দর্শকরা ঠিক মতো বসার আগেই বাংলার ব্যাটার সাজঘরে ফিরতে শুরু করেন। প্রথম ওভারেই অভিমন্যু ঈশ্বরনকে ফেরান জয়দেব উনাদকট। পরের ওভারে চেতন সাকারিয়া ফিরিয়ে দেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সুমন্ত গুপ্ত এবং সুদীপ ঘরামিকে। বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি মনোজ তিওয়ারি এবং অনুষ্টুপ মজুমদারও। ৩৪ রানে ৫ উইকেট চলে বাংলার। সেখান থেকে আকাশ ঘটকে এবং শাহবাজ় চেষ্টা করেন লড়াই করার। সেই লড়াইয়ে জল ঢেলে দেন আকাশ নিজেই। ৪৮টি বল খেলে ফেলার পর হঠাৎ পুল মারতে যান বাংলার অলরাউন্ডার। অহেতুক মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে দেন তিনি।
৬৫ রানে ৬ উইকেট চলে যায় বাংলার। সেখান থেকে বাংলার দুই বাঁহাতি শাহবাজ় এবং অভিষেক পোড়েল ক্রিজে পড়ে থাকেন। দু’জনেই যদিও ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছেন। বল কখনও অভিষেক ব্যাটে লেগে, উইকেটে লাগতে লাগতে বেঁচে গিয়েছে। কখনও আবার আম্পায়ার আউট দিয়ে দেওয়ার পর ডিআরএস নিয়ে ফিরে এসেছেন শাহবাজ়। ১০১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারানো বাংলা দ্বিতীয় সেশনে শুধু শাহবাজ়ের উইকেট হারায়। বাংলার ওপেনারের গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় শর্ট লেগে। ক্যাচ নেন বিশ্বরাজ জাডেজা। বাংলার শেষ ব্যাটিং জুটি ভেঙে যায়।
প্রথম সেশনে চুপ করে যাওয়া ইডেনের দর্শক জেগে ওঠে দ্বিতীয় সেশনে। কেউ শঙ্খধ্বনি দিতে থাকেন, কেউ শাহবাজ়ের জয়ধ্বনি দেন। অর্ধশতরান করে তিনিই বাংলাকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬৯ রানের মাথায় ধর্মেন্দ্র জাডেজার বলে আউট হন শাহবাজ়। তিনি ফেরার পরই আর বেশি ক্ষণ টিকল না বাংলার ইনিংস। ১৬৬ রানে শাহবাজ়ের উইকেট যায়। বাংলার ইনিংস শেষ ১৭৪ রানে। বাংলা বাকি ৩ উইকেটে ১০ রানও করতে পারল না।